Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: বিভিন্ন দেশে  নতুন করে করোনার ধরন শনাক্ত হয়েছে যার নাম ‘ওমিক্রন’। যেসব দেশে এ ‘ওমিক্রন শনাক্ত হচ্ছে সেসব দেশে এখন  যাত্রীদের আসা-যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারিসহ চারটি সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

 

রোববার (২৮ নভেম্বর) কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৪৮তম সভায় বিশদ আলোচনার পর এসব সুপারিশ করা হয়।

 

এই ঘোষণার পরপরই দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের সঙ্গে আফ্রিকার দেশগুলোর সরাসরি যোগাযোগ না থাকলেও যারা আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ট্রানজিট নিয়ে দেশে আসবে তাদের স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

রোববার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতিমধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানের সঙ্গেও সতর্কতা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছি। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমদের যেসব নির্দেশনা দেওয়া হবে, আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করব। আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ট্রানজিট নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা প্রত্যেককে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হবে। যাত্রীদের প্রতি আমার অনুরোধ তারা যেন অন্তত নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে হলেও সতর্ক হন। এছাড়াও বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের সরকারের নির্দেশনাগুলো মেনে চলার অনুরোধ করছি।’

 

এর আগে গত মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন এ ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়। একদিন পর এই ধরনকে ওমিক্রন নাম দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার এই নতুন সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সুইজারল্যান্ডে সরকারি সফরে যাত্রা করেও মাঝপথ থেকে  বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

 

জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে

১. বাংলাদেশেও এসব দেশ এবং যেসব দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেসব দেশ থেকে যাত্রী আগমন বন্ধ করার সুপারিশ করা হচ্ছে।

 

২. কোনাে ব্যক্তির এসব দেশে ভ্রমণের সাম্প্রতিক (বিগত ১৪ দিনে) ইতিহাস থাকলে তাদের বাংলাদেশে ১৪ দিন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোভিড-১৯ এর টেস্ট পজিটিভ হলে আইসোলেশন করতে হবে।

 

৩. প্রতিটি পোর্ট অব এন্ট্রিতে স্ক্রিনিং, সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থা আরও কঠোরভাবে পালন করা (স্কুল-কলেজসহ), চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং বিভিন্ন (রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়) সমাবেশে জনসমাগম সীমিত করার সুপারিশ করা হলো।

 

৪. কোভিড-১৯ এর পরীক্ষায় জনগণকে উৎসাহিত করার জন্য বিনামূল্যে পরীক্ষা করার সুপারিশ করা হচ্ছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *