ডায়ালসিলেট ডেস্ক::স্বজনের সন্ধানে সুগন্ধা নদীর পাড়ে পাগলের মতো ঘুরছেন বরগুনার মো. সুমন হোসেন। আগুন লাগা লঞ্চে ছিল তার স্ত্রী ও দুই সন্তান। অগ্নিকাণ্ডের দ্বিতীয় দিনেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই মুঠোফোনে মায়ের কাছে বিলাপ করে তিনি বলছিলেন, ‘আমার আর কেউ রইল না মা। আমার সব শেষ। দুই সন্তান ও স্ত্রী তসলিমাকে খুঁজে পাচ্ছি না’। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় স্ত্রী তাসলিমা আক্তারের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। তখন তারা লঞ্চ রওনা হয়েছিল। এখন আমি কাদের নিয়ে বাঁচবো। এদিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান ১০ যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সকাল ৯টায় বরিশাল নৌ-ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন নৌ-ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক বেলাল উদ্দিন। সারাদিন এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে ভোর থেকেই নিখোঁজদের সন্ধানে স্বজনরাও ট্রলার নিয়ে নদীর পাড়ে পাড়ে ঘুরছেন। কেউ ভিড় করছেন পুড়ে যাওয়া লঞ্চের পাশে। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ ও আহত হয়েছেন আরো শতাধিক।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
