ডায়ালসিলেট ডেস্ক::নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, আমি যখন ২০১১ সালে নির্বাচন করতে আসলাম আপনাদের এদিকে, তখন অনেক জায়গায় পানি ও কাদা দিয়ে হেঁটে হেঁটে যেতে হয়েছে। এরকম রাস্তাঘাট কিছুই ছিল না। বিগত ১০ বছরে এখানে প্রায় একশ’ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আপনাদের ক্যানেলপাড়ের কতো বড় রাস্তা হয়েছে আপনারা দেখেছেন তো। এখানে ডাম্পিং স্পটটা হচ্ছে। ২৩ একর জায়গা আমরা একোয়ার করেছি। সেখানে ময়লা আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। বাংলাদেশে প্রথম ময়লা আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে আপনাদের ওয়ার্ডে। এই জায়গার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। চাইনিজ একটি কোম্পানি কাজ পেয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে কাজটি শুরু হতে যাচ্ছে। গতকাল বিকালে ৯নং ওয়ার্ডের জালকুড়িতে গণসংযোগকালে এলাকাবাসীর উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আপনাদের আর চাহিদার কিছু নাই, রাস্তাঘাট ড্রেন সব হয়েছে। এখন আপনাদের চাহিদা, খেলার মাঠ, স্কুল, পার্ক। এগুলো এমন কোনো কঠিন কাজ না। এত টাকা দিয়ে যদি রাস্তা ও ড্রেন করে দিতে পারি তাহলে ৫-১০ কোটি টাকা দিয়ে মাঠ ও পার্কও করে দিতে পারবো। আইভী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দাবি করেছেন তাদের বসার জন্য একটি জায়গা করে দিতে। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, নির্বাচিত হলে একতলা না আমি আপনাদের অফিস দু’তলা করে দিবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। দুইশ’, তিনশ’ টাকা ভাতা পেতেন মুক্তিযোদ্ধারা তা বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। মা-বোনদের জন্য বিধবা ভাতা ও বয়স্ক ভাতা করেছেন। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রাস্তা করে দেয়া হয়েছে, তাদের জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ট্যাক্স মওকুফ করে দিয়েছি। পানির বিলও দিতে হবে না, সেটাও আমি ঘোষণা দিয়েছি। আপনাদের এই জায়গায় বড় একটা ঈদগা করে দিয়েছি। আমি আবার নির্বাচিত হলে আপনাদের ছোট ছোট কাজগুলো করে দিবো। আইভী বলেন, আমি জানি ৯ নম্বর ওয়ার্ড জালকুড়ি একটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। মা-বোন সকলে আপনারা নৌকায় ভোট দিবেন। আমি আপনাদের কাছে বলে গেলাম আমাকে অব্যশই ভোট দিয়েন। আমি যখন উন্নয়ন করেছি আমি কখনো দল দেখি নাই। দলবাজিও কখনো করি নাই। মানুষ যখন গিয়েছে আমি তার কাজটি করে দেয়ার চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, এই মাঠে দাঁড়িয়ে বলে গেলাম আপনারা আমাকে জয়যুক্ত করলে সর্বপ্রথম এই মাঠের জন্য টেন্ডার দিবো। এই মাঠ একবার টেন্ডার হয়েছিল কিন্তু জমিজমার কারণে হয় নাই। আমরা চেষ্টা করবো সমস্যা সমাধান করে কাজটি করে দেয়ার জন্য। আমি নদীর ওপারে সোহরাওয়ার্দী ক্লাব করে দিয়েছি। সিরাজদৌল্লা মাঠ করেছি। চারুকলার মাঠ করেছি সুতরাং আপনাদেরও করে দিবো ইন্শাআল্লাহ।