স্পোর্টস ডেস্ক::দীর্ঘ ২১ বছর যাবত ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সাদা পোশাকে নিজেদের ১২৮তম ম্যাচে নেমেছে টাইগার বাহিনী। আর এই ম্যাচে বাংলাদেশের শততম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে মোহাম্মদ নাঈমের অভিষেক হয়েছে। কুঁচকির চোটে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে নেই বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহীম। তার জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। আঙুলের চোটে বাদ পড়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। আর তাতেই শততম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট ক্যাপ মাথায় পরার সৌভাগ্য হয় নাঈমের। বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ অভিষেক হয়েছিল জয়েরই। ২০২০ সালের ৬ই মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় নাঈমের। গত ৩রা নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে পান প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের স্বাদ। এক মাসের ব্যবধানে এবার সাদা পোশাকের জার্সিও গায়ে জড়ালেন নাঈম। অস্ট্রেলিয়ার জন উইলিয়াম ম্যাকলারেন ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম শততম টেস্ট ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ৯৯ টেস্টে পেয়েছিল ১০০তম টেস্ট ক্রিকেটার। সবচেয়ে কম ম্যাচ লেগেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রোটিয়াদের ৪৩তম ম্যাচে শততম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় নরম্যান রেইডের, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এছাড়া ইংল্যান্ডের ৪৭তম ম্যাচে শততম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় স্যামুয়েল উডসের। ভারত শততম টেস্ট ক্রিকেটার পায় ৭১তম টেস্টে। অভিষেক হয়েছিল বালু গুপ্তের। নিউজিল্যান্ডের শততম টেস্ট ক্রিকেটারের নাম ওয়াইন পেনেল ব্র্যাডবার্ন, ৬১তম টেস্টে তার অভিষেক হয়েছিল। পাকিস্তানের শততম টেস্ট ক্রিকেটার মহসিন কামাল। তার অভিষেক হয় পাকিস্তানের ১৪৩তম ম্যাচে। ১৪৮তম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার শততম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় নুয়ান কুলাসেকারার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শততম টেস্ট ক্রিকেটার হলেন এস্টন জন ম্যাকমরিস। দলের ৬৮ ম্যাচে তার অভিষেক হয়েছিল। জিম্বাবুয়ের কার্ল মুম্বার অভিষেক চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে। তার অভিষেক হয়েছিল দলের শততম টেস্টে, তিনি নিজেও ছিলেন দলের শততম টেস্ট ক্রিকেটার।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
