ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় স্বামীর সামনেই একগৃহবধূ গণধর্ষনের শিকার হয়েছেন। শনিবার রাতে ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের পাশে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।পরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে।
রোববার নির্যাতনের শিকার ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। এ ঘটনায় রাজীব মিয়া (২৮) ও রিফাত মিয়া (২৪) নামে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল তাদের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আটক রাজীব ঘোড়াশাল পৌর এলাকার টেনগড়পাড়া এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে ও মো. রিফাত হোসেন ওরফে জাফর চামড়াবো বাজার এলাকার মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। মামলার অপর আসামি অপেনার (৩০) এখনো পলাতক।
ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যা রাতে ঘোড়াশাল রেলস্টেশন এলাকায় স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যান ওই গৃহবধূ। এ সময় ঝালমুড়ি খেতে খেতে তারা রেলপথ ধরে রাখে।
সে সময় রাজীব ও রিফাতসহ তিন বখাটে ওই দম্পতিকে আটকিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চায়। একপর্যায়ে তাদের টানতে টানতে স্টেশনের মাঝখানের এক নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে স্বামীকে মারধর করে স্ত্রীকে পালাক্রমে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই বখাটেদের কাছ থেকে ছুটে গিয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী ৯৯৯-এ কল দেন। বিষয়টি জানতে পেরে ঘোড়াশাল ফাঁড়ি পুলিশ ভুক্তভোগী গৃহবধূকে উদ্ধার করে। ওই দিনই অভিযান চালিয়ে রাজীব মিয়া ও রিফাত মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। রেলপথে এ ধর্ষণের ঘটনা হওয়ায় রোববার সকালে ভিকটিম ও গ্রেপ্তারকৃত দুই ধর্ষককে রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাজীব, রিফাত ও অপেনার মূলত স্টেশন এলাকায় বেশি ঘোরাঘুরি করে। সবাই তাদের বখাটে ও মাদকাসক্ত হিসেবে চেনে। ঘটনার পর থেকে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর স্বামীর ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমদাজুল জাহেদী জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ধর্ষিতা গৃহবধূকে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে আটক দুই আসামি রিফাত মিয়া ও রাজিব মিয়াকে গতকাল কিশোরগঞ্জ আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপর পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে জানান তিনি।