ডায়ালসিলেট::বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪শে মার্চে। তাই খুব শিগগিরই মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করবে পরিবার। এর পাশাপাশি উন্নতি চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়েও আবেদন করা হবে বলে খালেদা জিয়ার পরিবার ও আইনজীবীদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে রোববার সকালে খালেদা জিয়ার এক আইনজীবী মানবজমিনকে বলেন, মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে প্রতিবার পরিবারের পক্ষ থেকেই আবেদন করা হয়। এবার তাই হবে। আমরা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলো রেডি করে দেই। সবকিছু রেডি করে ম্যাডামের পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে। শুধু পরিবার থেকে ওনার বোন অথবা ভাই স্বাক্ষর করার পর সময় করে আবেদন করবেন। আশা করছি খুব শিগগিরই আবেদন করা হবে। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার জন্যেও আবেদন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ আইনজীবী। এদিকে মুক্তির আবেদনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম বলেন, তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা খারাপ। তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য আবেদন করতেই হবে। তবে, কবে আবেদন করার হবে এখনও ঠিক হয়নি। শামীম (ভাই শামীম ইস্কাদার) বিষয়টি দেখছে। তিনি আরও বলেন, বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করাই আছে। কিন্তু সরকার অনুমোদন করছে না। আগামীতে কী করা যায় সেটি ভাবা হচ্ছে। চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে দেখতে নিয়মিত গুলশানের বাসা ফিরোজায় যান চিকিৎসকরা। চিকিৎসদের মধ্যে নিয়মিত বাসায় যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মামুন। এছাড়া বোর্ডের ডাক্তাররা তাকে শিডিউল অনুযায়ী দেখতে যান। খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থার তেমন উন্নতি নেই বললেই চলে। তার পা ফুলে গেছে। হাঁটা-চলা করতে সমস্যা হচ্ছে। উল্লেখ্য, দেশে করোনা মহামারি দেখা দিলে ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ দুই শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে এই পর্যন্ত চার দফায় এই মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
ডায়ালসিলেট এম/

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *