মনজু চৌধুরী: চা বাগান ও হাওর বেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলায় প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের বাস। জেলার একটা বড় অংশের মানুষ প্রবাসে থাকেন। তাই এ জেলাকে প্রবাসী জেলা হিসেবেও আখ্যায়িত করেন অনেকে। কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ে নারীরা নেই বললেই চলে। অনেক পরিবার নারীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত কিংবা চাকুরি করার সুযোগ দিচ্ছে না। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরেই পশ্চিমা কিংবা উন্নত দেশে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসী পাত্র দেখে মেয়েদের বিয়ে দেয়াই পিতা-মাতার মূল লক্ষ্য। এই অনগ্রসর জেলার পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে কাজ করছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদর সাবরিনা রহমান বাঁধন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে তিনি এ জেলার  বাল্যবিয়ে বন্ধ, নারীদের উচ্চ শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রসর করতে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।মৌলভীবাজারের বাল্যবিয়ে ও নারীদের অনগ্রসতার  সাবরিনা রহমান বাঁধন  বলেন, ‘মৌলভীবাজারের দুই তৃতীয়াংশ পরিবার মেয়েদের উন্নত দেশের প্রবাসীর কাছে বিয়ে দিতে চায়। চাকুরির ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ নেই। দেশে থাকতে চায় না তারা। এ থেকে তাদের বের করে আনতে আমি নিয়মিত উঠান বৈঠক ও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছি।’

বিশেষ কিশোরীদের নিয়ে কাজ করছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা রহমান বাঁধন । উচ্চ শিক্ষায় নারীদের এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তিনি বলেন, অনেক পরিবার মেয়েদের পড়ালেখার ক্ষেত্রে অনেকটা উদাসীন। এছাড়াও জেলার বেশির ভাগ পরিবার তাদের মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষা দিয়েই পাত্রস্থ করতে চায়। তাদের ধারণা মেয়েরা লেখাপড়া করে কি করবে।

একজন নারী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে কী ধরনের প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয় এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন,‘এটা মানসিকতার বিষয়। কাজ করতে হলে নারী পুরুষের কোনো ভেদাভেদ নেই। অনেকে বলে নারীরা মাঠে দৌঁড়াতে পারে না। পরিশ্রম করতে পারে না। এ কথা ঠিক নয়।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *