ডায়ালসিলেট ডেস্ক::রাজধানীর বনানী থানায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন। আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট জেড আই খান পান্না ও সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। এর আগে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর আগে ১লা মার্চ বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ চিত্রনায়িকা পরীমনির মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। গত ৪ঠা অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখায় চার্জশিট জমা দেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। গত ১৫ই নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন। গত ৫ই জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম তিনজনের অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। বিচার শুরু হওয়া অপর দুই আসামি হলেন- পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার। পরে পরীমনি হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। গত বছরের ৪ঠা আগস্ট বিকালে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদকের মামলায় পরীমনির ৫ই আগস্ট চারদিন ও ১০ই আগস্ট দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ই আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১৯শে আগস্ট আরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২১শে আগস্ট আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৩১শে আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন তিনি কারামুক্ত হন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ডায়ালসিলেট এম/

