ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: সমালোচনার পর সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীত হওয়া বিতর্কিত ব্যক্তি মো. আমির হামজার পুরস্কার (মরণোত্তর) বাতিল করেছে সরকার। শুক্রবার সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করার পর সাহিত্যে আমির হামজার পুরস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা দেখা দেয়। বিশেষ করে সাহিত্যাঙ্গনের লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমির হামজার পুরস্কার নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেন।
সংশোধিত তালিকা অনুযায়ী ৯ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। ফলে সাহিত্য ক্যাটাগতিতে কেউ এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন না।
এর মধ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে পদক পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, মরহুম মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস, মরহুম সিরাজুল হক।
চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম; স্থাপত্যে প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন পুরস্কার পাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবার গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ক্যাটাগরিতে স্বাধীনতা পুরস্কার পাবে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিডাব্লিউএমআরআই)।
বিষয়টি সম্পর্কে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বুধবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তদন্ত করা হচ্ছে। আমির হামজার লেখা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
মো. আমির হামজা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন মাগুরার শ্রীপুরে গড়ে ওঠা শ্রীপুর বাহিনীর একজন সদস্য। তাঁর উল্লেখযোগ্য তিনটি বই হচ্ছে ‘বাঘের থাবা’, ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব’ এবং ‘একুশের পাঁচালি’। তাঁর এই তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে যথাক্রমে ২০১৮, ২০২০ এবং ২০২১ সালে।
এর আগে ২০২০ সালে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল এস এম রইস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে। ওই বারও পুরস্কার প্রদানকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হলে সরকার রইস উদ্দিনের পুরস্কার বাতিল করে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *