কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী থেকে দরিয়া নগর পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ মৃত মাছ ভেসে আসার ঘটনা নিয়ে আলোচনার শেষ নাই। অনেকে বলছে সমুদ্রে খারাপ প্রভাব বা সাগরে সৃষ্ট ‘ঘূর্ণিঝড় আসানি’র প্রভাবে মাছগুলো মারা গেছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!এ বিষয়ে কক্সবাজার মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী শফিকুর রহমান জানান, কোনো কিছুর প্রভাবে মাছগুলোর মৃত্যু হয়নি। মাছগুলো জেলেদের বোট থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে। জালে বিপুল পরিমাণ স্থানীয় ভাষায় ‘চামিলা’ মাছ ধরা পড়ে। কলাতলী পয়েন্টে দুটি নৌকায় আনলোড করার পর অবশিষ্ট মাছগুলো তারা সাগরের পানিতে ফেলে দেয়। পরে মরা মাছগুলো ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে কূলে উঠে আসে।
তিনি বলেন, বিপুল পরিমাণ মরা মাছ ভেসে আসা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে অনুসন্ধানে জানতে পারি মরা মাছগুলো বোট থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে।
একই কথা বলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা খালেকুজ্জামানও। তিনি বলেন, বিহিন্দি জালের মতো এক প্রকার জালে এসব মাছ ধরা পড়ে। কিন্তু বাজারে মাছগুলোর দাম কম হওয়ায় খরচ না পোষানোয় মাছগুলো সাগরে ফেলে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার (১৯ মার্চ) বিকেল থেকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট ও দরিয়া নগর পয়েন্ট পর্যন্ত লাখ লাখ মৃত মাছ ভেসে আসতে দেখেন পর্যটক এবং স্থানীয়রা। এরপর মৃত মাছ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় নামে সৈকতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও আলোচনার সৃষ্টি করেছে ব্যাপারটি।
দরিয়া নগরের স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম জানান, সমুদ্র সৈকতে অনেকগুলো মৃত মাছ ভেসে এসেছে। তিনি বলেন, কেন এমন হলো তা বুঝতে পারছি না। জীবনে প্রথম মাছের এমন মৃত্যুর মিছিল দেখলাম।
কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক সেবায় নিয়োজিত বিচকর্মী মাহাবুবুর রহমান জানান, ঢেউয়ের সঙ্গে হঠাৎ বিপুল পরিমাণ ছোট মরা মাছ ভেসে আসে। ভেসে আসার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সমাগম হয়। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন জানান, দুপুর থেকে ঢেউয়ের সঙ্গে মৃত মাছ ভেসে আসার খবর শুনেছি। মাছগুলো কোথায় থেকে এসেছে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। এর আগে সমুদ্র সৈকতে থেকে ভেসে এসেছিল কয়েকটি মৃত তিমি এবং কয়েক হাজার টন বর্জ্য।

