বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ আসার শঙ্কা কম বলে মনে করছে মার্কিন রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি)। সংস্থাটি জানায়, প্রতিবেশী দেশ ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ এলেও বাংলাদেশে এ ঢেউয়ের শঙ্কা খুবই কম।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে আমেরিকান সেন্টার বাংলাদেশের সঙ্গে ইউএস সিডিসির পার্টনারশিপ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিডিসির কান্ট্রি ডিরেক্টর নিলি কায়দোস ডেনিয়েলস এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, করোনার টিকা কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। জনসংখ্যার অনুপাতে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে এমন পরিসংখ্যানেও বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে থেকে এগিয়ে। এছাড়া এদেশের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক ভালো। যে কারণে নতুন করে কোনো ঢেউ আসার সম্ভাবনা কম।
তিনি আরও বলেন, চতুর্থ ঢেউ বাংলাদেশে এলেও তা হবে ছোট পরিসরে। তবে করোনা আক্রান্ত একজন রোগীই ফের মহামারি তৈরি করতে পারেন। তাই সতর্ক থাকতে হবে। মহামারি সবার জন্য শিক্ষা। আমাদের এটি ভুলে গেলে চলবে না। সুতরাং সতর্ক থাকতে হবে। মহামারি সবার জন্যই শিক্ষা, আমাদের এটি ভুলে গেলে চলবে না।

বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিডিসির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার যেভাবে বাড়ছে, তা উদ্বেগজনক। কারও দুদিনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিলে কাজ হবে, কিন্তু তাকে দেওয়া হচ্ছে পাঁচ দিনের।
নিলি কায়দোস বলেন, বাংলাদেশের ওষুধের দোকানগুলোতে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে মানুষের জীবাণু নিরোধক প্রতিরোধ ব্যবস্থা কমে যাচ্ছে। এতে অবস্থা এমন হতে পারে, যেমন মনে করুন আপনার হাত একটু কাটল, আর তাতেই আপনি মারা যাবেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *