মনজু  চৌধুরী॥  প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি ‘মাধবকুন্ড জলপ্রপাত’। মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার পাথারিয়া পাহাড়ের পাদদেশ ঘেঁষে অবিরাম জলধারায় এক চিরযৌবনা জলপ্রপাত ‘মাধবকুন্ড’। বর্ষার সমস্ত প্রাচুর্য নিয়ে, দেশ-বিদেশের হাজোরো পর্যটকের জন্য অপার সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে সাজিয়ে রাখে নিজেকে। মহামারি করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এবারের ঈদ-উল-ফিতরে ঈদ উৎসবে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত পর্যটকদের জন্য অপেক্ষায়। পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হবে জলপ্রপাত ও আশপাশের এলাকা। পর্যটকের আগমনে হাসি ফুটে উঠে উঠবে পর্যটন এলাকার ব্যবসায়ীদের মাঝে।

একসময় বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে প্রাকৃতিক জলপ্রপাত মানেই ছিলো মাধবকুন্ড। এখন দেশের ভেতরে আরো অনেক জলপ্রপাতের সন্ধান মিলেছে। তবে এখনো জলপ্রপাত অনুরাগী পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ মাধবকুন্ডই। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ভিড় জমান এই ঝর্ণাধারার সৌন্দর্য উপভোগে। মাধবকুন্ড যাওয়ার উত্তম সময় হচ্ছে বর্ষাকাল, এই সময় ঝর্ণা পানিতে পূর্ণ থাকে। এবার ঈদ-উল-ফিতর বৈশাখে হওয়ায় ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা ভিড় জমাবেন মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে।

প্রায় ২০০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, সুবিশাল পর্বত গিরি, শ্যামল সবুজ বনরাজি বেষ্টিত ইকোপার্ক, পাহাড়ী ঝরনার প্রবাহিত জলরাশির কল কল শব্দ সবমিলিয়ে মাধবকুন্ডে বেড়াতে গেলে পাওয়া যাবে এক স্বর্গীয় আমেজ। এই স্বর্গীয় আমেজের খুঁজেই পর্যটকরা ঈদের ছুটিতে দলে দলে এখানে আসেন। উৎসব প্রিয় সব মানুষের গন্তব্য যেন মাধবকুন্ড জলপ্রপাত।

এবারের ঈদ যাত্রায় পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করে মাধবকুন্ডের সৌন্দয্য উপভোগ করতে পারে সে জন্য পর্যটক পুলিশ বাড়ানো হয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *