ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কুদ্দুস বেপারী নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন।

 

আজ মঙ্গলবার সকালে ঈদের জামাত শেষে বাড়ি ফেরার পথে চিতলিয়া ইউনিয়নের মজুমদ্দার কান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। এঘটনায় আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন।

 

 

নিহত কুদ্দুস বেপারী চিতলিয়া ইউনিয়নের মজুমদ্দার কান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও চিতলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।

 

 

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে কান্দি গ্রামের ঈদের জামাত শেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম‌্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদার এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন হাওলাদারের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কুদ্দুস বেপারীসহ প্রায় ১৮ গুরুতর আহত হন। তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুদ্দুস বেপারীকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরো দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

 

এ ঘটনায় চিতলিয়া এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

 

জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, দ্বিতীয় ধাপে চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বাতিলের পর নতুন করে ১৫ জুন পুনঃনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই হারুন হওলাদার ও তার সমর্থকরা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে।

 

এরই জের ধরে আজ ঈদের দিনে পরিকল্পিকভাবে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে তারা। তাদের হামলায় চিতলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি কুদ্দুস বেপারী মারা গেছেন। এর আগেও বহুবার তারা নীরিহ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে।

 

 

পালং মডেল থানার ওসি আকতার হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হারুন হাওলাদার ও ছালাম হাওলাদারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে আজ ঈদের নামাজ শেষে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *