মনজু চৌধুরী: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় প্রাইভেট শিক্ষকের (প্রাইভেট হুজুর) বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর (১২) এক মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় আক্রান্ত শিশু শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অভিযুক্তকে ধরতে শুরু হয়েছে পুলিশি অভিযানও। মঙ্গলবার ১০ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার পৃথিমপাশায় ।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বলাৎকারের শিকার শিশুটির মা কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, প্রতিদিনের মতো হুজুরের কাছে পড়তে পার্শ্ববর্তী বিরনের বাড়িতে যায় তার ছেলেটি। সেখানে ৬ মাস থেকে প্রতিদিন ৬ জন ছাত্র প্রাইভেট পড়লেও মঙ্গলবার রাতে দুই জন পড়তে আসে। সেখানে অভিযুক্ত প্রাইভেট হুজুর মালিক মিয়ার (২৪) চাচাত বোন ও ওই ছেলেটি পড়তে যায়। সেখানে না পড়িয়ে প্রাইভেট হুজুর মালিক ছেলেটিকে নিয়ে তার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। ছেলেটিকে রাজা ব্রিক ফিল্ডে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন।রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেটি কোনও রকমে বাড়িতে এসে ঘরের বাহিরেই পড়ে যায়। এসময় ছেলেটির মা ও বোন মিলে ছেলেটিকে ঘরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখতে পান তার পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত ঝরছে, তার পরনের শার্ট ও প্যান্ট ছিড়া। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানতে পারেন প্রাইভেট পড়ানো হুজুর একই গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে মালিক তার সাথে খারাপ কাজ করেছে। সাথে সাথে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে জানিয়ে আত্মীয়-স্বজন মিলে ছেলেটিকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রাত দেড় টার দিকে সেখানে ভর্তি হয়ে বর্তমানে ছেলেটি চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনাকারী মালিক মাদরাসায় লেখাপড়া করে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে প্রাইভেট পড়াতো বলে জানাগেছে।
এ বিষয়ে ছেলেটির মা বলেন, যেভাবে তার ছেলের শরীর থেকে রক্ত ঝরেছে, সেভাবে হুজুরের শরীর থেকেও যেন রক্ত ঝরে। তিনি এর দৃষ্ঠান্তমূলক বিচার দাবি করেন বলেন, এভাবে যেন আর কোনও মায়ের সন্তান নির্যাতনের শিকার না হয়। তিনি আরও বলেন, তার স্বামী থানায় গিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বিনয় ভূষন রায় জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। শিশুটির পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।তবে, খবর পাওয়ার পর পরই ঘটনার সাথে জড়িতকে ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

