স্টাফ রিপোর্টার॥  জুড়ী উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের জামকান্দি এলাকার মংরু মুন্ডার মেয়ে পূর্ণিমা মুন্ডা (২৬)। গত দুই বছর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন। গত সপ্তাহ খানেক ধরে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরই মাঝে তিনি আটক হন বিএসএফের হাতে। মঙ্গলবার ৩১ মে সন্ধ্যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে হস্তান্তর করে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বিজিবি ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মে থেকে পূর্ণিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।  পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৮ মে জুড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারেন পূর্ণিমা ভারতের আসাম রাজ্যের আদমটিলা এলাকায় আছেন। লোকজন তাঁকে পেয়ে স্থানীয় পাথারকান্দি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ সময় পূর্ণিমা পুলিশকে তাঁর নাম-ঠিকানা বলেন। পরে পুলিশ তাকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। বিষয়টি বিজিবিকে অবহিত করা হলে তারা বিএসএফের কাছে পত্র বিনিময়ের মাধ্যমে আটকের সত্যতা পায়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুড়ীর লাঠিটিলা সীমান্ত দিয়ে পূর্ণিমাকে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় বিএসএফের পক্ষে ১৩৬ ব্যাটালিয়নের লাঠিটিলা ক্যাম্পের পরিদর্শক মনোজ কুমার ও বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়নের জুড়ী ক্যাম্পের কমান্ডার আবদুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।

পরিবার জানায়, মানসিক ভারসাম্যহীন পূর্ণিমা কিভাবে পাহাড়ী পথ পাড়ি দিয়ে ভারতে গেল বিষয়টি তাদের বোধগম্য হচ্ছে না। এখানে কারো সহযোগীতা থাকতে পারে বলে জানায় পরিবার। তবে বিষয়টি তারা নিশ্চিত করতে পারেনি।

তবে বিজিবি কমান্ডার আবদুর রহিম প্রথমে কোন তথ্য দিতে না চাইলেও পরে জানান, পূর্ণিমা যেকোনভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে যেতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *