স্টাফ রিপোর্টার॥ সীতাকুন্ডের অগ্নিকান্ডে কন্টিনার বিস্ফোরণের সময় ফেইসবুকে প্রথম লাইভ করে ডিপোতে কর্মরত মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ওলিউর রহমান নয়ন। কিন্তু লাইভে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যুতে শোকের মাতন চলছে তার গ্রামের বাড়ী কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্রামে। সংসারে একমাত্র উপাজনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে বাবা পাগল প্রায়। তার এই মৃত্যু কিছুতে মেনে নিতে পারছেননা মা ছোট ভাই বোনসহ গ্রামবাসী।
নয়নের বাবা আশিক মিয়া জানান, আগুন লাগার ঘন্টা দুই আগে তার সাথে শেষ কথা হয় নয়নের। সে বাবাকে বলে- ছোট বোনের পড়ার খরচ হিসাবে এক হাজার টাকা বিকাশ করলাম। তিনি কেঁদে কেঁদে বলেন কে জানতো আমার নয়ন এভাবে চলে যাবে।
এদিকে নয়নের লাশ চট্টগ্রাম থেকে বাড়ীতে এম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসেন ফটিকগুলী এলাকার মৌলানা রমজান আলী। তিনি জানান, কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই তারা ৫ জুন রবিবার রাতে লাশ গ্রহণ করেন। এসময় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তাদের দাফন কাফনের জন্য ৫০ হাজার টাকা হয়েছে। আরও ২ লাখ টাকা তাদেরকে দেওয়া হবে। তবে তারা টাকা নয় চান এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার।
এদিকে তাকে শেষ বারের মতো এক নজর দেখতে সকাল থেকে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন তার বাড়ীতে। তার এই মৃত্যু কিছুতে মেনে নিতে পারছেন না প্রতিবেশীসহ এলাকার সাধারন মানুষ। তারা জানান সর্বশেষ ঈদ উল ফেতরে সে বাড়ী এসেছিলো। কয়েকদিন থেকে আবার চলে যায় সীতাকুন্ডে। তারা জানান, এলাকার মামুন নামের এক ঠিকাদার থাকেন চট্টগ্রাম। উনার মাধ্যমে চার মাস আগে সে এবং এলাকার আরও কয়েকজন কন্টিনার ডিপোতে চাকুরী নেন।
উল্লেখ্য,শনিবার ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্রগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোতে হঠাৎ আগুনের ঘটনা ঘটে।


