আজ শনিবার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্যের করোনাভাইরাস টেস্টিং কিট সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে এই নমুনা কিট ব্যবহারের জন্য প্রস্তত বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও অন্যতম ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে এই কিট হস্তান্তরের কথা থাকলেও অধিদপ্তরের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয় ব্যস্ততার কারণে তারা আসেনি। রোববার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আমরা নমুনা কিট পৌঁছে দেব। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যে সরকার অনুমোদন দেবে। সরকারি অনুমোদন পেলে পরের সপ্তাহে কিট উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। কিটের দাম সর্বোচ্চ আড়াইশ টাকা পড়বে জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন এটির বাজার মূল্য ৩০০ টাকা হবে।
প্রস্তুত করা কিট পরীক্ষায় সফল দাবি করে গবেষক দলের প্রধান বিজন কুমার শীল বলেন, এন্টিবডি ও এন্টিজেন্ট এই দুটির সমন্বয় করেই কিট তৈরি করা হয়েছে। এটি পাঁচ মিনিটের মধ্যেই করোনা পরীক্ষা করা যাবে। সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তুত করা কিট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
এর আগে কিট কতটা সফল হবে সেটি জানতে চাওয়া হলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা খুব ভালো সফল হয়েছি। রক্ত পরীক্ষা করার পরে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি। পরীক্ষা করার পর অনুমোদন দিলে প্রথমে দেব ১০ হাজার, তারপরে এক লাখ দেব। শনিবার আমরা নমুনা কিটগুলো দিয়ে দেব। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), আর্মি প্যাথলজি ল্যাবরেটরি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ (ডাব্লিউএইচও) বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে এই কিট দেব।’
গত ১৭ই মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পরীক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় কিট উৎপাদনের কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ১৯শে মার্চ কিট উৎপাদনের সরকারি অনুমোদন পায় প্রতিষ্ঠানটি। করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের কিট তৈরির জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক দলের নেতৃত্ব দেন ড. বিজন কুমার শীল। অন্যদের মাঝে আছেন ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমির উদ্দিন, ড. ফিরোজ আহমেদ ও সিঙ্গাপুরের ১জন গবেষক রয়েছেন ।