Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: মাত্রাতিরিক্ত বাড়িয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বিক্রির অভিযোগে দেশের শীর্ষস্থানীয় ৩৬ শিল্প গ্রুপ, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।
প্রতিযোগিতা কমিশন তাদের নিজস্ব আইনের ক্ষমতাবলে গত বৃহস্পতিবার এসব মামলা করে। এতে সব মিলিয়ে ৪৪টি মামলা করা হয়েছে।
এসব গ্রুপ ও প্রতিষ্ঠান নিত্যপণ্য চাল, আদা, ময়দা, ডিম, মুরগি, প্রসাধন সামগ্রীর দাম মাত্রাতিরিক্ত বাড়িয়ে বিক্রি করছিল। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- প্রাণ, এসিআই, সিটি, আকিজ, কেয়া, বসুন্ধরা, স্কয়ার, মেঘনা, টিকে, নূরজাহানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
কমিশনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, চালসহ নিত্যপণ্যের বাজারে ‘অস্থিরতার জন্য’ স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের চেয়ারম্যান, এসিআইয়ের চেয়ারম্যান, ব্র্যাক সিড অ্যান্ড অ্যাগ্রো এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান অথবা এমডি, প্রাণ ফুডসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অথবা এমডি, সিটি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি, কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি, বাংলাদেশ ইউনিলিভারের এমডি, কোহিনূর কেমিক্যালের এমডির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- কুষ্টিয়ার রশিদ অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টের স্বত্বাধিকারী মো. আবদুর রশিদ, দিনাজপুরের জহুরা অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মো. আবদুল হান্নান, নওগাঁর বেলকন গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মো. বেলাল হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এরফান গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মো. এরফান আলী, বগুড়ার কিবরিয়া অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া, নওগাঁর মফিজ উদ্দীন অটোমেটিক রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী তৌফিকুল ইসলাম, বগুড়ার আলাল অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টের আলাল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নুরজাহান অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী মো. জহিরুল ইসলাম, বগুড়ার খান অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী পুটু মিয়া, কুষ্টিয়ার মেসার্স দাদা রাইস মিলের মো. আরশাদ আলী, নওগাঁর মজুমদার অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী ব্রজেন মজুমদার, নারায়ণগঞ্জের সিটি অটো রাইস অ্যান্ড ডাল মিলস এবং নওগাঁর ম্যাবকো হাইটেক রাইস ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান অথবা এমডির বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রতিযোগিতা কমিশন।
এছাড়া আটা-ময়দার বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য মেঘনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি, এসিআই, টিকে গ্রুপের এমডি, নুরজাহান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি, সিটি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের এমডির বিরুদ্ধে মামলা করেছে কমিশন।
ডিমের বাজারে কারসাজির জন্য সিপি বাংলাদেশ কোম্পানির এমডি বা সিইও, প্যারাগন পোলট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডায়মন্ড এগ লিমিটেডের এমডি, পিপলস ফিডের স্বত্বাধিকারী, কাজী ফার্মস গ্রুপের এমডি কাজী জাহেদুল হাসান, ডিম ব্যবসায়ী আড়তদার বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ফার্মের মুরগির বাজারে অস্থিরতার জন্য কাজী ফার্মস গ্রুপের এমডি কাজী জাহেদুল হাসান, সাগুনা ফুড অ্যান্ড ফিডসের পরিচালক, আলাল পোলট্রি অ্যান্ড ফিশ ফিডের এমডি বা সিইও, নারিশ পোলট্রি ও হ্যাচারির পরিচালক, প্যারাগন পোলট্রির এমডি এবং সিপি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
টয়লেট্রিজের (সাবান, সুগন্ধী সাবান ও গুঁড়া সাবান) অস্বাভাবিক দাম বাড়ানোর জন্যও কয়েকটি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে এসিআইয়ের চেয়ারম্যান, ইউনিলিভার বাংলাদেশের এমডি, স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান বা এমডি, কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি (তিব্বত) ও কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান অথবা এমডি।
এসব কোম্পানির মধ্যে ১১টির বিষয়ে আজ মঙ্গলবার প্রতিযোগিতা কমিশনে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গতকাল সোমবারও একটি কোম্পানির মামলার শুনানি হয়।

