স্পোর্টস ডেস্ক :: নগরীর পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরুর ৩০ মাসের মধ্যে শেষ করা হবে। এ কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার দু’টি কোম্পানিকে বাছাই করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখান থেকে পপুলাস আর্কিটেকচারকে বেছে নেয়া হয়েছে। অন্য ফার্মটি ছিল কক্স আর্কিটেকচার।
উভয় সংস্থারই বিশ্বে বড় বড় স্টেডিয়াম নির্মাণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। অলিম্পিক ও ফুটবল বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ করেছে ঐ দুই প্রতিষ্ঠান। তবে সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর শেষ পর্যন্ত পপুলাসকে চূড়ান্ত করেছে বিসিবি।
রবিবার সপ্তম কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় পপুলাস আর্কিটেকচারের সাথে চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে বোর্ড। এখন চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে বিসিবি। তবে ছয় মাসের মধ্যে স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
সোমবার বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম নির্মাণের ঠিকাদার আমরা চূড়ান্ত করেছি। দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পপুলাসকে। তাদের দায়িত্ব দেয়ার বিষয়টি আজ বোর্ডে অনুমোদন হয়েছে। তাদের সাথে চুক্তি হবে আমাদের। আমরা প্রস্তুত, সকল কাগজপত্রও প্রস্তুত। যে কোনও দিন চুক্তিটি হবে। চুক্তির ছয় মাসের মধ্যে তাদের কাজ শুরু করতে হবে।’
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘নকশার ডিজাইনের জন্য একটি টাইমলাইন রয়েছে। আমরা আশা করছি, ছয় মাসের মধ্যে কাজ শুরু করবো। তবে তার আগেই আমরা কাজ শুরু করার চেষ্টা করবো। যত দ্রুত সম্ভব আমরা সামনে এগোতে চাই।’
প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, ‘আমাদের চুক্তি স্বাক্ষরের সময় থেকে ৩০ মাস সময়সীমা থাকবে। এভাবেই সবকিছু করা হয়েছে। তবে এরমধ্যেই কাজ শেষ করার চেষ্টা করতে হবে।’
২০১৮ সালে স্টেডিয়াম নির্মানের কার্যক্রম শুরু হয়। আর ২০১৯ সালে নৌকার মতো ডিজাইনটির প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। ২০২৩ সালের মধ্যে স্টেডিয়াম তৈরির লক্ষ্য থাকলেও, তা সম্ভব হবে না।
২০২৪ সালে বাংলাদেশ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে আসরের ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *