কামাল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কুটি
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!কী আছে এজাহারে?
ডায়াল সিলেট রিপোর্ট :: সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন তার ভাই মইনুল হক। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত রোববার রাতে নগরের বড় বাজার এলাকায় অজ্ঞত দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন আ ফ ম কামাল। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধে কামাল খুন হয়েছেন।
হত্যাকান্ডের প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- বিশ্বনাথের লামাকাজি এলাকার আজিজুর রহমান সম্রাট, একই এলাকার মো. হাফিজ, আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার শাকিল আহমদ, বাদাম বাগিচা এলাকার মিশু, গুয়াইপাড়া এলাকার কুটি, একই এলাকার মনা, বিশ্বনাথের আব্দুল আহাদ, খাদিম দাসপাড়ার মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, সদর উপজেলার রায়েরগাওয়ের আশরাফ সিদ্দকী ও লালারগাওয়ের রুহুল আমিন শাওন।
মামলার এজাহারে মইনুল হক অভিযোগ করেন, আম্বরখানার মান্নান সুপার মার্কেটে তাদের ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে লাহিন আহমদের ‘লহিন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস’ নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ১৯ অক্টোবার আসামিরা এসে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায়। এখবর পেয়ে কামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের ভাংচুর চালাতে নিষেধ করেন।
মইনুল হক এজাহারে লেখেন- এসময় দুপক্ষের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। আসামিরা সেদিন প্রকাশ্যে আমার ভাইকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরজেরে ধরে ৬ নভেম্বর রাত ৮ টার দিকে আমার ভাই প্রাইভেটকারে বালুচরে নিজ বাসায় যাওয়ার সময় বড়বাজার এলাকায় ৪/৫ টি মোটরসাইকেল যোগে আসামিরা পিছু নেয়। এসময় তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে।
এদিকে, এই মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার রাতে এজাহারভূক্ত আসামি কুটিকে গেপ্তার করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।

