ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতার কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে তারা দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে। বিএনপি জনগণের ন্যায্য দাবী আদায়ে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ করে যখন ঢাকায় গণসমাবেশের প্রস্ততি চলছিল। ঠিক তখনই দলীয় ক্যাডার ও পুলিশ দিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্বরোচিত হামলা করে তাণ্ডব চালিয়েছে। গণসমাবেশ বানচাল করতে দলের মহাসচিব, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সহ শত শত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। আমাদের ভাই মকবুল হোসেনকে গুলি করতে হত্যা করেছে। সরকার দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়। জনগণ তা মেনে নেবে না। দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে আওয়ামী লীগের সকল অপকর্মের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।
মঙ্গলবার বেলা ২টায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু ও সিলেট জেলা বিএনপি নেতা মাহবুব আলমসহ গ্রেফতারকৃত নিঃশর্ত মুক্তি, ৭ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে মকবুল হোসেন হত্যা, মিথ্যা গায়েবী মামলা, হামলা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ জবর দখল করার প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিবাদ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ইতিহাস স্বাক্ষী জুলুম-নির্যাতন করে কোনো স্বৈরশাসকই টিকে থাকতে পারেনি, আওয়ামী লীগও টিকে থাকতে পারবে না। অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহন্তরীণ থেকে মুক্তি, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ষড়যন্ত্রমূলক গায়েবী মামলায় গ্রেফতারকৃত সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের সাথে জড়িত আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নয়াপল্টনে পুলিশের গুলিতে নিহত মকবুল হোসেনের খুনিদের গ্রেফতার করতে হবে। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনগণের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। অন্যথায় দেশের সাধারণ মানুষকে নিয়ে বিএনপি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। তখন আর পালাবার রাস্তাও খুঁজে পাবে না।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি সিলেট রেজিস্ট্রারী মাঠ থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আম্বরখানা পয়েন্টে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর থেকে দেশে রামরাজত্ব চলছে। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেঁকে গেছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন, মহাসচিব সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আজ রাজবন্দী। কিন্তু এত কিছুর পরও দেশের মুক্তিকামী মানুষ হাল ছেড়ে দেয়নি। যতই জুলুম নির্যাতন করা হোক না কেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকার জনরোষ থেকে বাঁচতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ অতিশীঘ্রই এই জালিম সরকারের হাত থেকে জনগণ মুক্তি পাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দীন আশুক, হাজী শাহাব উদ্দীন, মাহবুবুর রব ফয়ছল, মামুনুর রশীদ মামুন, অ্যাডভোকেট এ টি এম ফয়েজ, কামরুল হাসান শাহীন, ফখরুল ইসলাম ফারুক, আবুল কাশেম, ওয়াহিদুজ্জামান সুফি, মাহবুব আলম, মুশিকুর রহমান মুহি, আব্দুল আহাদ খাঁন জামাল, কোহিনুর আহমদ, নিহার আহমদ, আজিজুর রহমান আজিজ, লিলু মিয়া, আলী আকবর, জসীম উদ্দিন, গৌছ আলী, তাজরুল ইসলাম তাজুল, এ কে এম তারেক কালাম, আজির উদ্দীন, অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, আল মামুন, অ্যাডভোকেট আল আসলাম মুমিন, আনোয়ার হোসেন মানিক, আখতার আহমদ, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ, শাকিল মুর্শেদ, লোকমান আহমদ, বাদশাহ আহমদ, আব্দুল লতিফ খান, আহাদ চৌধুরী শামীম, আব্দুল মালেক, মিফতাউল কবির মিফতা, আজিজুল হোসেন আজিজ, মামুনুর রশীদ, আফসর খাঁন, আব্দুল মালেক, জালাল খাঁন, হাজী আসাদ, মনিরুল ইসলাম তুরন, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, অর্জুন ঘোষ, আলতাফ হোসেন সুমন, জি এম বাপ্পী, সুমেল আহমদ চৌধুরী, দেলওয়ার হোসেন দিনার, মাশরুর রাসেল, দেলোয়ার হোসেন নাদিম, অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমী, সোহেল ইবনে রাজা, আকবর আলী, শাহিন আলম জয়, অ্যাডভোকেট মোবারক হোসেইন, আজমল হোসেন অপু প্রমুখ ।

