পিতা খুন হতে পারেন এমন ধারণা থেকে আগেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের খুন হওয়া নুরুল আমিন (৬০) এর ছেলে তরিকুল ইসলাম অয়ন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!তিনি গত ১১ জানুয়ারি তার নিজের ফেসবুকে লিখেন,”আমার বাবা ও পরিবারের সদস্যদের কিছু হলে আমার তিন চাচা (১)নুরুল হক,(২)শাহ আলম (৩)শাহ জাহান , এই পোস্টটি প্রশাসনের ও এলাকাবাসী দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
ছেলের ফেসবুক স্ট্যাটাসের ৮ দিনের মাথাই খুন হয়ে হল তাকে। পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ও বৃহস্পতিবার বসতঘর নির্মাণ নিয়ে বিরোধে ভাইয়ে-ভাইয়ে মারামারিতে প্রাণ হারান নুরুল আমিন। এতে আহত হয়েছেন একই পরিবারের আরও দুইজন।
নুরুল আমিন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিলো। বৃহস্পতিবার সকালে দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান শাহ জামাল বসতঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নিলে ভাইদের সঙ্গে ঝামেলা হয়। এক পর্যায়ে মারধরে ঘটনাস্থলে নুরুল আমিন মারা যান।
এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে তরিকুল ইসলাম অয়ন জানান, আমিসহ আমার আরেক ভাই চাকরী করার কারণে বাহিরে থাকি। আমার বাবা অসুস্থ থাকার কারণে জমি বিক্রি করতে চাইলে সম্পত্তি চাইলে দিতে রাজি হয় না আমার তিন চাচা। বার বার চাচাদের বুজিয়ে বললেও কোনো সমাধান হয়নি। অনেক বার হাতে পায়ে ধরেছি কোনো কাজ হয়নি।
তিনি আরও জানান, থানা-ইউএনও-উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সবাইকেই অবগত করেও কোনো লাভ হয়নি। শেষ মেশ আজ বৃহস্পতিবার সকালে আমার বাবাকে তিন চাচা নুরুল হক, শাহ আলম, শাহ জাহান ও তাদের সন্তানরা মিলে আমাদের বাড়িতেই হত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই আমার পিতা হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তি দাবী করছি।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

