সে্পোটর্ ডেস্ক;:নিজ দেশের টুর্নামেন্ট পিএসএলের কারণে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বিপিএলে পুরো আসর খেলতে পারবেন না সেটা আগেই জানা। তাই সিলেট পর্বের পর দেশে ফিরে যান পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির ও স্পিনিং অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম। তাদের ছাড়া সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলিং আক্রমণ কার্যত দুর্বল। যার প্রমাণ মিলেছে দলটির সর্বশেষ ম্যাচে। বিপিএলের টেবিল টপার সিলেট স্ট্রাইকার্সের ভক্ত-সমর্থকরা অবশ্য পেয়েছেন সুখবর। লীগ পর্বে সিলেট স্ট্রাইকার্সের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে খেলবেন। এই ম্যাচের আগে আমির ও ওয়াসিম পিএসএল ছেড়ে ফিরছেন ঢাকায়। খেলবেন আগামীকাল খুলনার বিপক্ষে লীগ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। তাদের আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির মিডিয়া ম্যানেজার মিনহাজউদ্দিন খান এবং কোচ তুষার ইমরান। মিডিয়া ম্যানেজার নিহাজউদ্দিন খান বলেন, ‘আমির, ইমাদ ফিরতে পারে একটা ম্যাচআশা করি তারা এসে খেলবে একটা ম্যাচ। আমাদের একটা ম্যাচ যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ, ওই ম্যাচ জিততে পারলে আমরা শীর্ষে থেকে শেষ করবো। এজন্য ম্যানেজমেন্ট থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমির-ইমাদকে একটা ম্যাচের জন্য আনা যায় কি না।’ রংপুর রাইডার্সকে ১৭১ রানের লক্ষ্য দিয়ে দুই ওভার বাকি থাকতেই পরাজিত হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। যদিও ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই আছে তারা। কিন্তু সেরা দুইয়ে থাকা এখনও নিশ্চিত হয়নি। তাই রাউন্ড রবিন লীগের শেষ ম্যাচের জন্য আমির ও ইমাদকে পাকিস্তান থেকে উড়িয়ে আনার চেষ্টা করছে সিলেট। বিপিএলে এবার ১৩ উইকেট নিয়েছেন আমির, ইমাদের শিকার ১০ উইকেট। তারা ফিরে যাওয়ার পর মোহাম্মদ ইরফান ও গুলবাদিন নাইবকে দলে নেয় সিলেট। প্লে-অফে দলটিতে যোগ দেবেন দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার জর্জ লিন্ডা। আগামীকাল খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে খেলবে সিলেট। তবে এই ম্যাচেও অনিশ্চিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কোচ তুষার বলেন, ‘কঠিন আসলে বলা। ফিজিও যদি অনুমতি দেয় (খেলার ব্যাপারে)। একদম যে ফিট সেটাও কিন্তু না। মাশরাফি মাঠে থাকা বড় একটা ব্যাপার আমাদের জন্য, ক্রিকেটারদের জন্য। ফল সে বের করে নিয়ে আসে অধিনায়ক হিসেবে। প্লে-অফে তাকে কোনো একটা ম্যাচে পেলেও পেতে পারি।’ সিলেটের ব্যাটিং কোচ তুষার ইমরান বলেছেন আরও এক নাম, জর্জ লিন্ডা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার এসএ-২০ শেষে বাংলাদেশে আসবেন বিপিএলের বাকি অংশে খেলতে। লিন্ডা প্রথমবারের মতো মাতাবেন বিপিএল। ১১ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সকে জায়গা ধরে রাখতে হলে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই। কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করা বাকি তিন দল খেলেছে ১০টি করে ম্যাচ, পয়েন্ট সমান ১৪ করে। আর ১১ ম্যাচ খেলা সিলেটের পয়েন্ট ১৬।

ডায়ালসিলেট এম/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *