স্পোর্টস ডেস্ক::দলের শেষ ম্যাচে আলো কাড়লেন আরাফাত সানি। গতকাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচে ৪ উইকেট নেন এ বাঁহাতি স্পিনার। ৭ বছরের বেশি সময় পর ইনিংসে চার উইকেটের স্বাদ পেলেন সানি। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে ৪ ওভারের স্পেলে সানি দেন মাত্রই ২২ রান। দীর্ঘ বিপিএল ক্যারিয়ারে ৮৩ ম্যাচ খেলে আগে একবারই ৪ উইকেট নিতে পেরেছিলেন সানি। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই মিরপুরেই রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১৪ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি সিলেট সুপারস্টার্সের বিপক্ষে ম্যাচে। এই সংস্করণে অবশ্য এক দফায় ৫ উইকেটের স্বাদও তিনি পেয়েছেন। তবে সেটি বিপিএলে নয়। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসের ক্রিকেটে ঢাকা মেট্রোপলিসের হয়ে বগুড়ায় ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে নতুন বলে বোলিংয়ে এমনিতে বিশেষজ্ঞ মনে চট্টগ্রামের বিপক্ষে এই ম্যাচে অবশ্য আক্রমণে আনা হয় তাকে চতুর্থ বোলার হিসেবে। যদিও পাওয়ার প্লেতেইে বোলিংয়ে আসেন তিনি, বল তখনও নতুন। নিজের ছাপ রাখতেও সময় নেননি। প্রথম ওভারেই ইরফান শুক্কুরকে ফিরিয়ে দলকে এনে দেন প্রথম ব্রেক থ্রু। দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান সানি নিজের পরের ওভারেই। এবার তার শিকার আরেক বাঁহাতি আফিফ হোসেন। ইরফানের মতো আফিফও ক্যাচ দেন স্লগ সুইপ খেলে। ওই ওভারেই তৃতীয় শিকারের দেখা পান তিনি চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরীকে বিদায় করে। তার বোলিং বিশ্লেষণ তখন ২-০-৯-৩। নিজের তৃতীয় ওভারে উইকেটের দেখা তিনি পাননি। শেষ ওভারটি করতে আসেন শেষ দিকে। ইনিংসের ১৫তম ওভারে উসমানকে সাজঘরে ফেরান তিনি। সানির বলে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ ফাঁদে জড়ান ২৯ বলে ৩০ রান করা পাকিস্তানি ব্যাটার উসমান। এবারের বিপিএলে আগের ৭ ম্যাচে সানি উইকেট ছিল ৬টি। ওভারপ্রতি রান যদিও দিয়েছিলেন ছয়ের কম। মৌসুম শেষ করলেন আট ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে। বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে উইকেট শিকারে যৌথভাবে পাঁচে উঠে এসেছেন আরাফাত সানি। ৩৬ বছর বয়সী স্পিনারের মোট শিকার ৮৩ ম্যাচে ৭৯ উইকেট। সমান উইকেট শিকার পেসার শফিউল ইসলামেরও। তালিকার শীর্ষে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৯৭ ম্যাচে ১২৯ উইকেট শিকার সাকিবের। এরপর আছেন তিন পেসার রুবেল হোসেন (১০১), মাশরাফি বিন মুর্তজা (৯৭) ও তাসকিন আহমেদ (৮৯)।করা হয় সানিকে।

ডায়ালসিলেট এম/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *