মনজু বিজয় চৌধুরী॥ মৌলভীবাজারে অবাদে হাওরের গাছগাছালিসহ পাহাড় ও টিলা কাটা এবং নদনদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় দেদার চলছে এসব পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম। এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম মৌলভীবাজার জেলা কমিটি। এই সংগঠনের নেতারা বুধবার দুপুরে হাওর, বন, জলাশয় ও পরিবেশের অবক্ষয় রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন।
মৌলভীবাজার জেলা পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সৈয়দ মহসিন পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোয়াইমিন মিল্টন সাংবাদিক জয়নাল আবেদীনসহ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপি প্রদানকারীদের অভিযোগ জেলার শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও রাজনগরসহ বিভিন্ন উপজেলায় অসংখ্য বৈধ-অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। পরিবেশ আইন না মেনে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, হাটবাজার ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এসব ইটের ভাটা গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে এসব এলাকা। তিন ফসলি জমির উর্বরতাও নষ্ট হচ্ছে।
স্মারকলিপিতে আরো জানানো হয়, বিভিন্ন বনাঞ্চল থেকে অবাধে বাঁশ গাছ কাটার ফলে পরিবেশ ও বনের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত মৌলভীবাজার জেলার ৫১টি পাহাড়ি ছড়ার বালু উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে তা না মেনে অবাদে বালু উত্তোলনের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
চা বাগানের ছায়া বৃক্ষ কর্তন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন হাওরে জলজ উদ্ভিদ কেটে নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে স্মারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, পুরো বিষয়টি ভালোভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *