ডায়ালসিলেট ডেস্ক: সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার থেকে কুলাউড়ায় নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ২৩ বছরের এক নারীকে শ্রীমঙ্গলের একটি চা বাগানে এনে সিএনজি চালকসহ ৫ জন মিলে গণধর্ষণ করে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে শ্রীমঙ্গল থানা সিএনজি চালকসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ধর্ষকরা হলেন, সিএনজি চালক ওসমানীনগরের মতিরগাঁও গ্রামের মতলেব মিয়ার ছেলে সেলিম (৩৩) ও শ্রীমঙ্গল মাইজদিহি চা বাগানের রাম গবিন এর ছেলে হৃদয় নুনিয়া (২০)।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে দুই আসামি। পরে এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ভিকটিম বাদি হয়ে এজাহার দায়ের করলে শ্রীমঙ্গল থানা একটি গণধর্ষণ মামলা নেয়। ঘটনাটি ঘটে ১৪ এপ্রিল শুক্রবার রাতে।
শনিবার ১৫ এপ্রিল গ্রেফতারকৃত দুই ধর্ষককে মৌলভীবাজার আদালতে তোলা হলে আসামি হৃদয় নুনিয়া ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে ১৬৪ ধারা মোতাবেক আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন।
জানা যায়, ১৪ এপ্রিল ইফতারের পর ২৩ বছরের এক নারী সিলেট জেলার ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার থেকে তার বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ফেরার জন্য গাড়ির অপেক্ষা করছিল। সিএনজি চালক সেলিম তাকে কুলাউড়ার বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে সিএনজিতে উঠায়।
পরে সেলিম ওই নারীকে মৌলভীবাজারে নিয়ে কুলাউড়ার বাসে না উঠিয়ে দিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীমঙ্গল ভৈরব বাজারে নিয়ে আসে। সেলিমের কথামতো ভৈরববাজারে আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা তার আরো ৪ সহযোগী মিলে ওই নারীকে মাইজদিহি চা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে সেলিমসহ ৫ জন মিলে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওই নারীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে সিএনজি চালক সেলিমসহ অপর ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।