করোনার পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেটের বানিয়ে রাজধানীতে চলছে জমজমাট ব্যবসা ৷ প্রতারকচক্র করোনার নেগেটিভ সনদ বিক্রি শুরু করেছে সাধারণ মানুষদের কাছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!এদিকে চিকিৎসার জন্যও এখন হাসপাতালগুলো রোগী ভর্তি হতে গেলেই করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট চায় বিভিন্ন সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালগুলো ৷ এই সার্টিফিকেট ছাড়া রোগী ভর্তি তো দূরের কথা অনেক সময় চিকিৎসাই দিতে চায়না তারা ৷ এর বাইরে কর্মস্থল, পোশাক কারখানা এবং ভ্রমণের জন্য করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট অনেকটা বাধ্যতামূলক হয়েছে ৷
কিন্তু সাধারণভাবে করোনা টেস্ট এখানে সময় সাপেক্ষ এবং উপসর্গ ছাড়া পরীক্ষা করানো কঠিন৷ আর এই সুযোগ নিচ্ছে প্রতারক চক্র ৷ তারা বিভিন্ন হাসপাতাল, করোনা টেস্টিং সেন্টারের সিল, চিকিৎসকের নাম, সাক্ষর এবং করোনা সার্টিফিকেটের স্টাইল জাল করে ভুয়া সার্টিফিকেট তৈরি করে দিচ্ছে ৷
এছাড়াও শুধু নেগেটিভ নয়, পজেটিভ সার্টিফিকেটও দিচ্ছে প্রতারকচক্ররা ৷ পজেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে কেউ কেউ আবার অফিসে না গিয়ে বাসায় ছুটি কাটানোসহ নানা সরকারি সুবিধা নিচ্ছেন৷ ঢাকা শহরে এইসব সার্টিফিকেট বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ সাত হাজার টাকা ৷ ঢাকাসহ জেলা শহরের হাসপাতালগুলোকে কেন্দ্র করেই এই চক্র সবচেয়ে বেশি তৎপর। তারা হাসপাতাল এলাকা থেকেই প্রধানত জাল সার্টিফিকেট ক্রেতাদের টার্গেট করে ৷
এদিকে পোশাক কারখানা এলাকায়ও তাদের তৎপরতা আছে ৷ রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে কোভিড-১৯ এর ভুয়া নেগেটিভ সনদ বিক্রির অপরাধে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৩।
এসময় র্যাব কর্মকর্তা গনমাধ্যমকে জানান, গত সোমবার রাজধানীর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভুয়া সনদ ও সনদ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩-এর সদস্যরা গত সোমবার মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ প্রতারকচক্রকে গ্রেপ্তার করা হয়।

