বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শোক

 

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: দুই বাংলার জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কলকাতার নিমতলা শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

 

এদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে কলকাতার অ্যাপোলো গ্লেনিগলস হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুরে তার বাসভবনে আনা হয়।

 

সকাল থেকেই তাকে শ্রদ্ধা জানাতে তার বাসভবনে ভিড় করেন সর্বস্তরের মানুষ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, প্রেস সচিব রঞ্জন সেন, কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম, মন্ত্রী শশী পাঁজা, ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ সেলিম, সিপিএম চেয়ারম্যান বিমান বসুসহ অন্যরা।

 

সমরেশ মজুমদারের মৃত্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি শোকবার্তা পাঠান। সেই শোকবার্তা সমরেশ মজুমদারের বড় মেয়ে দোয়েল মজুমদারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

 

সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সোমবার রাতে বাংলায় টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘শ্রী সমরেশ মজুমদার বাংলা সাহিত্যে তার অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার লেখনীতে পশ্চিমবঙ্গের সমাজ ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। তার পরিবারের প্রতি রইল সমবেদনা। ওঁ শান্তি।’

 

কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ‘সমরেশ মজুমদার একজন কিংবদন্তি লেখক ঔপন্যাসিক ছিলেন। তার প্রয়াণে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে শোক প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের জনগণ এবং কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসের পক্ষ থেকে আমি এখানে এসে শোক প্রকাশ করছি। প্রয়াত সাহিত্যিকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বাংলাদেশে সমরেশ মজুমদারের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। তার প্রতিটি বই বাংলাদেশের সব পাঠক অসংখ্যবার পড়েছেন। তিনি তার সমকালীন জীবনকে উপন্যাসের মধ্যদিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। এ ধরনের লেখক সচরাচর আমাদের জীবনে আসে না। তার এই চলে যাওয়া দুই বাংলার জন্যই অপূরণীয় ক্ষতি।’

 

কলকাতার মেয়র ফিরাহাদ হাকিম বলেন, ‘যারা সৃষ্টি করেন তারা কখনোই মারা যান না। তার লেখা, সৃষ্টি, রচনার মধ্যদিয়ে তিনি সারাজীবন বেঁচে থাকেন। মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকেন। যতবার তার বইগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি হবে, তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসবেন। বাংলার পাশাপাশি সমস্ত পাঠক ও মানুষের হৃদয় তিনি স্পর্শ করেছেন। আর সেই কারণে বাংলাদেশে,ঢাকা হেকে শোকবার্তা আসছে। কারণ সমরেশের লেখা সেখানকার মানুষের কাছে পৌঁছেছে, সেখানকার মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে।’

 

এদিন সকাল থেকেই দোয়েল মজুমদারকে তার বাবার মরদেহের পাশে বসে থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও ভক্তরা ফুলের তোড়া, ফুলের মালা নিয়ে শেষবারের মতো সমরেশ মজুমদারকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

 

সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয় ও ‘কালবেলা’ উপন্যাসের অমর স্রষ্টা ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *