ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিনে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সেন্ট মার্টিনেই ১২ শ ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গতির বাতাস নিয়ে রোববার (১৪ মে) বিকাল ৩টার দিকে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, মোখার তাণ্ডব চলাকালে জোয়ার ছিল না। সমুদ্রের বুকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি দাঁড়িয়ে আছে। সেন্ট মার্টিনের প্রায় ৯০ ভাগ মানুষের বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দ্বীপের ছোটবড় হাজারখানেক গাছ ভেঙে পড়েছে। গাছ ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন ১১ জন। কেউ নিহত হয়নি।

 

সেন্ট মার্টিনের আরেক বাসিন্দা জসিম উদ্দিন শুভ বলেন, মোখার তাণ্ডব যখন শুরু হয় তখন মনে হয়েছিল আর হয়তো বা কারও সঙ্গে দেখা হবে না। চোখের সামনে বাতাসে ঘরবাড়ি উড়িয়ে যেতে দেখছি। দ্বীপের মানুষ অনেক আতঙ্কিত হয়ে আছে।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দ্বীপে মোখার তাণ্ডবে অনেক ঘরবাড়ি উড়ে গেছে। যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সহয়তা দেওয়া হবে।

 

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান বলেন, মোখার তাণ্ডব সন্ধ্যার পর পুরোদমে শিথিল হয়ে গেছে। সিগন্যাল কমে এলে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা আড়াই লাখ মানুষ ঘরে ফিরতে পারবেন। সেন্ট মার্টিনে ১২ শ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধস্ত ও ১১ জন আহত হয়েছেন জেলায় ১০ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *