Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: ইউনাইটেডের মালিকানা পেতে কাতারের ধনী ব্যক্তি শেখ জসিম বিন হামাদ আল থানির প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাজ্যের বহুজাতিক কেমিক্যাল কোম্পানি ইনিওস গ্রুপের মালিক স্যার জিম র্যাটক্লিফ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কেনার লড়াইয়ে দু’জনই দফায় দফায় দাম প্রস্তাব করছেন। দুই সপ্তাহ আগে স্যার র্যাটক্লিফ কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও ব্যাংকার শেখ জসিমের চেয়ে বেশি দাম হাঁকান। এবার বিশাল অঙ্কের নতুন এবং ফাইনাল দরপ্রস্তাব করলেন শেখ জসিম। খবরটি দিয়েছে বৃটিশ দৈনিক মেট্রো।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিনতে শুরুতে ৫০০ কোটি পাউন্ড দরপ্রস্তাব করেছিলেন শেখ জসিম বিন হামাদ আল থানি। এরপর ক্লাবটির ৫১ বা তার বেশি শতাংশের মালিকানা পেতে কাতারি ধনকুবেরের চেয়ে বেশি মূল্যের দরপ্রস্তাব করেন স্যার র্যাটক্লিফ। মেট্রোর প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে ‘ফাইনাল’ দরপ্রস্তাব করেছেন শেখ জসিম। তবে শেখ জসিমের নতুন বিডের পরিমাণ জানায়নি গণমাধ্যমটি। কবে প্রস্তাবিত নতুন দামে না হলে ম্যানইউ কিনবেন না তিনি।
ইংলিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের বরাত দিয়ে মেট্রো জানায়, নতুন প্রস্তাবে অর্থের পরিমাণ ঠিকই বাড়িয়েছেন শেখ জসিম। তবে স্যার র্যাটক্লিফের সবশেষ প্রস্তাবিত দরের চেয়ে বেশি নয় কাতারি ধনকুবেরে নতুন বিড।
র্যাটক্লিফের চেয়ে কম দরপ্রস্তাব করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কেনার প্রত্যাশা করছেন কীভাবে শেখ জসিম? মূলত ইউনাইটেডের সম্পূর্ণ মালিকানা চান না স্যার র্যাটক্লিফ।
ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার মতো অংশ কিনতে চান তিনি। এটি সাধারণত ৫১ শতাংশ বা তার বেশি হয়ে থাকে। শুরুতে মালিকানা ৬৯ শতাংশ কিনতে চেয়েছিলেন ইনিওস গ্রুপের মালিক স্যার জিম র্যাটক্লিফ। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। ক্লাবের সঙ্গে কো-চেয়ারম্যান জোয়েল ও আভ্রাম গ্লেজারের সম্পৃক্ততা চান র্যাটক্লিফ। বিপরীতে ম্যানইউর সম্পূর্ণ মালিকানা কিনতে চান শেখ জসিম। সেক্ষেত্রে মালিকানা হস্তান্তরের পর তাৎক্ষণিকভাবে রেড ডেভিলদের সব ঋণ পরিশোধ করবেন কাতারি ধনকুবের। শেখ জসিম একটি প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। প্রস্তাবিত দামে ম্যানইউ ক্রয় করতে পারলে ম্যানইউর প্লেয়িং স্কোয়াড এবং ওল্ড ট্রাফোর্ডের উন্নতিতে অর্থপূর্ণ বিনিয়োগ করবেন তিনি।
বর্তমানে ম্যানইউ ক্লাবের ৭০ শতাংশের মালিক যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক গোষ্ঠী গ্লেজার পরিবার। বাকি ৩০ শতাংশ কিছু কোম্পানি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানাধীন রয়েছে।

