ডয়চে ভেলে :: যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন ইউনেসকো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। শতাব্দীপ্রাচীন এই ভবন বহু ইতিহাসের সাক্ষী। সেই ভবনই আর কত দিন রক্ষা করা যাবে, তা নিয়ে এমপিদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। হাউস অব কমন্সে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভবনের বিভিন্ন জায়গা থেকে পানি চুঁইয়ে পড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা গেছে। আগুন লাগলে তা নেভানোর মতো যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। ফলে বড় কোনো বিপর্যয় ঘটলে ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। অবিলম্বে এই ভবনের সংস্কার প্রয়োজন বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

পার্লামেন্ট সদস্যদের বক্তব্য, ভবনটির এখন যা অবস্থা তা সংস্কার করতে বহু অর্থ ব্যয় হবে। আরও কালক্ষেপণ করলে খরচ বহুগুণ বেড়ে যাবে, যা করদাতাদের অর্থ থেকেই নিতে হবে। তা ছাড়া আর অপেক্ষা করলে ভবনটি সংস্কারের অযোগ্যও হয়ে পড়তে পারে। এখনো পর্যন্ত যা কাজ হয়েছে তা কার্যত ‘ধর তক্তা মার পেরেক’ গোছের বলে জানিয়েছে পার্লামেন্টের কমিটি। তাতেই সপ্তাহে ২০ লাখ পাউন্ড করে খরচ হয়েছে।

 

ওয়েস্টমিনস্টার রাজপ্রাসাদটিকেই যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর আগেও এর সংস্কার নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কখনোই সামগ্রিক সংস্কারের ব্যবস্থা হয়নি। আলোচনাও এগিয়েছে খুব ধীরগতিতে। ২০১৮ সালে এমপিরা ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক করেছিলেন, ২০২০ সালে ভবনটি কিছুদিনের জন্য খালি করে দেওয়া হবে। সে সময় সংস্কারের কাজ করা যাবে। কিন্তু ২০২০ সালে সবাই পার্লামেন্ট ভবন ছেড়ে যেতে চাননি। ফলে সংস্কারও সম্ভব হয়নি।

 

যাঁরা ভবনটি ছেড়ে যেতে চাননি, তাঁরা বারবার বলেছেন, পার্লামেন্ট ঠিকমতো সংস্কার করতে হলে বহু বছর সময় লেগে যাবে। এত দিন ওই ভবন ছেড়ে অন্যত্র পার্লামেন্ট চালানো সম্ভব নয়।

 

২০১৬ সাল থেকে পার্লামেন্ট ভবনে অন্তত ৪৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এখন ২৪ ঘণ্টা দমকলকর্মীরা ভবনটি পাহারা দেন। ১৮৩৪ সালে অগ্নিকাণ্ডেই নষ্ট হয়েছিল পুরোনো ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদ। এরপর চার্লস ব্যারি নামক এক স্থপতি নতুন ভবনটি তৈরি করেন। নিও গথিক স্থাপত্যের সেই ভবনই এখনকার ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *