ডায়াল সিলেট ডেস্ক :  নিজের মালিকানাধীন জায়গায় লেয়ার মুরগীর ফার্ম তৈরি করে নিজের জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি কিছু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন জুড়ীর জায়ফরনগর ইউনিয়নের পশ্চিম ভবানীপুর গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবুল কাশেম।
প্রায় দশ বছর ধরে তিলে তিলে ব্যবসাটি বড় করেছিলেন। সম্প্রতি এক প্রতিবেশি ফার্মের বিষ্টার গন্ধে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে এমন অভিযোগে এনে পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

আবেদনের প্রেক্ষিতে ও সরেজমিনে খোলা জায়গায় মুরগীর বিষ্টা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার সত্যতা পাওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তর কাশেমকে  ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এরপর কয়েক মাস খামারটি বন্ধ থাকে। আর্থিক ভাবে বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হন তিনি, তবে ভেঙ্গে পড়েন নি। পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা মতে তিনি ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখেন, নতুন করে খামার নিয়ে স্বচ্ছলতার জাল বুনতে থাকেন। ধার-দেনা করে পুণরায় বিনিয়োগ করতে থাকেন। জরিমানার কারণ সেই বিষ্টা থেকে বায়োগ্যাস ও জৈব সার উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থ আয়ের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। সে জন্য পরিবেশ সম্মতভাবে পৃথক ট্যাংকি ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন করছেন। এতে অর্থ আয় হবে এবং পরিবেশেরও ক্ষতি হবে না।
স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন, গফুর মিয়া, বাচ্চু মিয়া, অহেদ মিয়া, ইসলাম উদ্দীন, ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, লেয়ার মুরগীর খামার করে কাশেম স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছিল। কিন্তু বিষ্টার গন্ধের কারণে জরিমানাসহ খামারটি বন্ধ হয়ে যায়। পরিবেশ সম্মত ভাবে এখন আবার শুরু হচ্ছে। এখানে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
আবুল কাশেম বলেন, জমি বিক্রি করে খামারটি করেছিলাম। কয়েকজন মানুষের ষড়যন্ত্রের কারণে আমি বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এখন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী খামারটি আবার চালু করতে যাচ্ছি। এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার-এর পরিচালক মাহিদুল ইসলাম বলেন, পার্শ¦বর্তী বাসিন্দা তার ফার্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। বসতি থেকে দেড়শত মিটারের কাছে বাড়ি থাকার কারনে তার পোল্ট্রি ফার্ম বন্ধ রাখতে বলেছি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *