সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের দিন ভোট দেননি বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে তিনি এদিন ফুরফুরে মেজাজে নানা জায়গায় ঘুরে সময় কাটান।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি সিটি নির্বাচন বর্জন করেছে। এ অবস্থায় টানা দুবারের নির্বাচিত সিসিক মেয়র আরিফুল হকও এ নির্বাচনে অংশ নেননি।

বুধবার (২১ জুন) সকালে সিটিতে ভোটগ্রহণ চলার সময় স্ত্রী শ্যামা হককে নিয়ে সিলেট শহর ছেড়ে দাদাবাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যান আরিফুল হক। উপজেলার উবাহাটা গ্রামে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটান। বিকেলে কমলগঞ্জের শমসেরনগরে কুরবানির পশুর হাটে যান তিনি। সেখান থেকে কোরবানির জন্য কেনেন ২০টি ছাগল।

এর আগে সকালে ভোট না দিয়েই সিলেট শহর ছাড়েন মেয়র আরিফ। সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের বাসা থেকে কমলগঞ্জের মুন্সীবাজার ইউনিয়নের উবাহাটা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে বের হন। মেয়রের সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী শ্যামা হক ও ব্যক্তিগত তিন কর্মকর্তা।

আরিফুল হকের ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন গ্রামের বাড়িতে আসা হয়নি তার। জৈষ্ঠের আম-কাঠালের দাওয়াত দিলেও বাড়িতে আসার সুযোগ হয়নি মেয়রের। এবার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তিনি এখনও স্বপদে বহাল। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় তিনিও প্রার্থী হননি, তাই নির্বাচনের দিন তিনি হঠাৎই সপরিবারে দাদার বাড়ি বেড়ানোর পরিকল্পনা করেন। দুপুরের খাবার শেষে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে কমলগঞ্জের শমসেরনগরে কুরবানির পশুর হাটে গিয়ে পছন্দের কিছু ছাগল কেনেন। সেখানে তাকে পেয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা এসে ছবি তোলেন, সঙ্গ দেন।

মেয়র আরিফুল হকের চাচা স্থানীয় মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আরিফ সকালে বাড়িতে আসেন। বিকেলে শমসেরনগর কোরবানির হাট থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকা দিয়ে ২০টি ছাগল কেনেন। সন্ধ্যার পর তার সিলেটের বাসায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

ভোট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সিসিক মেয়র ও বিএনপির নির্বাহী সদস্য আরিফুল হক বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি— আমার দল নির্বাচনে যাবে না। গত ২০ মে সমাবেশ করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। এখন কাউকে সমর্থন দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

এর আগে মঙ্গলবার (২০ জুন) রাতে এক সাক্ষাৎকারে মেয়র আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার দল বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তাই আমি প্রার্থী হইনি। নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। জনগণকে এই নির্বাচন বয়কট করার আহ্বান করছি। ভোটের সারা দিন আমি আমার দাদাবাড়িতে থাকব। সেখানে আম কুড়াব।’

আরিফুল হক চৌধুরী ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রয়াত মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে হারিয়ে প্রথমবার মেয়র হন। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরানকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।

মেয়র আরিফ এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা-না করার বিষয়টি দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখেন। নানা নাটকীয়তার পর দলের সিদ্ধান্তের কথা বলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল তার বন্ধু হওয়ায় অনেকে মনে করছিলেন আরিফবলয় বা বিএনপির ভোট বাবুল পাবেন। কিন্ত ভোটের আগ মুহূর্তেও কাউকে সমর্থন দেননি আরিফুল।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *