নিজস্ব প্রতিবেদক :: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন । একইসাথে ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে ওই এলাকার বিভিন্ন রাস্তাাঘাটও। অনেক বাড়ি-ঘরে উঠেছে পানি। কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে কয়েক একর ফসলের মাঠ আর সবজি তলা। আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে এলাকা প্লাবিত হওয়ায় অনেক পুকুর ও ফিসারীর মাছ পানিতে ভেসে গেছে। সিলেটে কয়েক দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ও রাস্তায় পানি জমে থাকতে দেখা যায়।

ঠিক একইভাবে সিলেটের সালুটিকর বাজার সংলগ্ন নন্দিরগাও ইউনিয়নে অবস্থিত বনানী এগ্রো ফার্মটি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মাছের ফিসারী চাষের মধ্যদিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। আইসিবি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এর অর্থায়নে বনানী এগ্রো ফার্ম নামে প্রতিষ্টানটি প্রায় ২০ একর জায়গা নিয়ে ৯টি পুকুরে মাছ চাষের জন্য মোট ২৫ লক্ষ পোনা ছাড়া হয়। সেখানে চিতল, গাছকা, রুই, কাতলা, মৃগেন মাছ চাষ করা হয়।

দীর্ঘ ৩ বছর ধরে মাছের চাষ করার পর চলতি বছরের ২০২০ইং মার্চ মাসে বাজারজাত করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে তা সম্ভব হয়নি। এজন্য আগামী বছরে ২০২১ ইং সালের প্রথমদিকে মাছগুলো বাজার জাতের পরিকল্পনা করা হয়।

কিন্তু আকস্মিকভাবে সারা দেশের ন্যায় সিলেটে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বনানী এগ্রো ফার্মের ২০ একর জায়গার প্রায় ৯৫ভাগই পানিতে তলিয়ে যায় এবং সবগুলো মাছ পানিতে ভেসে চলে যায়। এতে প্রায় ১ কোটি ৩৫ লক্ষ থেকে দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রতিষ্টানটির।
এ অবস্থায় মাছ গুলো চলে যাওয়ায় আজ তারা প্রায় নি:স্বহ।

এব্যাপারে বনানী এগ্রো ফার্মের পরিচালক আবুল বশর হোসেইন বলেন, একাধারে গ্রাায় ৩ বৎসর প্ররিশ্রম করে ২৫ লক্ষ পোনা ও মাছেন খাবারসহ প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকার ব্যয় হয়। সব মিলিয়ে বনানী এগ্রো ফার্মের প্রায় ১ কোটি ৩৫লক্ষ থেকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতি হয়।

এ অবস্থায় ফিসারীতে সব মাছ চলে যাওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে যা ঘুড়ে দাড়ানো প্রায় অসম্ভব। তার আমাদের একটাই চাওয়া যদি সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার করা হয় তাহলে আমরা আবার এই ফিসারীতে মাছের চাষ করে দূর্যোগ কাটিয়ে ঘুড়ে দাড়ানোর ধীর প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *