ডায়াল সিলেট ডেস্ক: কুলাউড়ায় ব্যবসায়ীক বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ইন্ধনে এক নিরীহ ব্যবসায়ীকে পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
হয়রানির সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর একটি মোটরসাইকেল ও একটি পাওয়ার টিলার গাড়ি বাড়ি থেকে জোরপূর্বক থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে আলমগীর জানান, তিনি উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের হিংগাজিয়া বাজারের একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী। এর পাশাপাশি তিনি মাছের ফিসারি, কৃষিকাজ ও ইট বালু পরিবহনে নিয়োজিত ট্রলি গাড়ির ব্যবসা করে থাকেন। ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় একই এলাকার বদরুল হোসেন অপু, মানিক মিয়া ও জুয়েল মিয়া তাকে ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতি সাধনের জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। গত একমাস পূর্বে হিংগাজিয়া বাজার থেকে মানিক মিয়ার একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে ওই তিনজন। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে আমার ড্রাইভারকে ৫৪ ধারায় কোর্টে প্রেরণ করে পুলিশ। একপর্যায়ে তারা ব্যর্থ হয়ে কুলাউড়া থানার এএসআই নৃপেশ দেবকে দিয়ে গত ১১ জুন আমার বাড়িতে জোরপূূর্বক ঢুকে আামার মোটরসাইকেলর লক ভেঙে এবং বাজারে থাকা ট্রলি গাড়ি থানায় নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় গত ২১ জুন তিন বখাটের বিচার ও পুলিশ কর্তৃক থানায় নেওয়া আমার মোটরসাইকেল ও ট্রলি ফেরৎ পাওয়ার জন্য একটি আবেদন নিয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে সরাসরি দেখা করেন। তখন পুলিশ সুপার ভুক্তভোগী তার স্ত্রী ও ছোট ২ ছেলের কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শুনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু মোটরসাইকেল ও ট্রলি নেওয়ার ২৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও পুলিশ ফেরৎ দেয়নি।
এ ব্যাপারে এএসআই নৃপেশ দেব জানান, আলমগীরের বিরুদ্ধে থানায় চুরি ও হত্যা মামলা রয়েছে। সেসব কুকর্ম থেকে বাঁচতে সে কৌশল হিসাবে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। তবে আদালতের নির্দেশ ছাড়া ভুক্তভোগীর মোটরসাইকেল ও ট্রলি আনা ঠিক হয়েছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *