ডায়াল সিলেট ডেস্ক: আকস্মিকভাবে বাঘ আতঙ্কে রয়েছেন মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হাসনাবাদ, বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দারা। যেকোনো সময় আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে রাত জেগে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। টিলা—জঙ্গলবেষ্টিত এ এলাকায় মাঝে মধ্যেই বাঘ দেখা যায়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!জানা গেছে,গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পর হাসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দুইটি বাঘ ঘুরাঘুরি করতে দেখেছেন এলাকাবাসী। ভোরে সেই বাঘগুলো মাঠ ছেড়ে পাশের জঙ্গলে চলে যায় বলে এলাকাবাসীর ধারনা
স্থানীয় বাসিন্দা রাহিদুল ইসলাম রনি বলেন, বাঘগুলো কীভাবে এসেছে তা আমরা জানি না। সন্ধ্যার পর স্কুলের মাঠে শুয়ে থাকে। ভোরে চলে যায়। বড় আকৃতির দুইটি বাঘ রয়েছে। এগুলো সম্ভবত চিতা বাঘ হবে।
এলাকাবাসী জানান, এই এলাকায় এক সময় পাহাড় জঙ্গল ছিল। আগে মানুষের বসতি ছিল না। তখন এসব এলাকায় বড় বড় বাঘ, হরিণ, হাতিসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণি ছিল। ধীরে ধীরে মানুষের বসতি গড়ে ওঠার কারণে এসব পশু-পাখি চলে যায়। এখনও বাহাদুরপুরের পূর্বে কিছু জঙ্গল রয়েছে যেসব এলাকায় কিছু বন্যপ্রাণি বসবাস করে। বেশিরভাগ সময় বানরের দল খাদ্যের অভাবে লোকালয়ে এসে বসতবাড়ির ফলমূল খেয়ে চলে যায়। এখনও সন্ধ্যার সময়ে এসব এলাকায় শেয়ালের পাল নামে। তবে গত কয়েকদিন থেকে সন্ধ্যার পর দুইটি বাঘ দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয়রা। যেকোন সময় আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে রাত জেগে পাহারা দেওয়া হচ্ছে বলে তারা জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আজাদ মিয়া জানান, কয়েকজন মহিলা বাঘ দেখেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। বাঘগুলোর উপস্থিতি সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা গেলে বন্যপ্রাণী অফিসে খবর দেওয়া হবে।
বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব এলাকায় চিতা বাঘ থাকার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই, তবে মেছো বিড়াল থাকতে পারে। লোক পাঠিয়ে খবর নেওয়া হবে।

