ডায়াল সিলেট ডেস্ক: মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদে দুবাই প্রবাসী শাহাজান উদ্দিনকে মারধর করেছেন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ময়নুল ইসলাম। রোববার (৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। দুবাই প্রবাসী শাহাজান উদ্দিন ইউনিয়নের মহাসস্র গ্রামের বাসিন্দা।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা যায়, দুবাই প্রবাসী শাহাজান উদ্দিন রোববার দুপুরে জন্মসনদে স্বাক্ষর আনতে ইউনিয়ন পরিষদে যান। কাজ শেষে তার পূর্ব পরিচিত বন্ধু ইউনিয়ন পরিষদের স্টাফ আব্দুল কাইয়ুম বকুল এর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করছিলেন। গল্পের এক পর্যায়ে প্রবাসী বলেন, নাগরিক সনদে নাগরিকদের কাছ থেকে বেশি টাকা নেয়া হচ্ছে। একথা শুনেন ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ময়নুল ইসলাম। এ মন্তব্য নিয়ে তিনি প্রবাসীর সাথে কথাকাটাকাটি করেন। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে একে অপরকে লাঞ্চিত করেন। উপস্থিত লোকজন উভয়কে আটকানোর চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে উভয় নিজের আত্মীয়-স্বজন ও লোকদের ফোন করে ইউনিয়ন পরিষদে আনেন। ইউপি সদস্যের লোক শিপু মিয়া এসে প্রবাসীকে থাপ্পর মারেন। চিৎকার শুনে চেয়ারম্যান ও স্থানীয় লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

এবিষয়ে প্রবাসী শাহাজান উদ্দিন বলেন, আমার বন্ধু ইউনিয়ন পরিষদের স্টাফ আব্দুল কাইয়ুম বকুল এর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করছিলাম। এসময় একজন লোক নাগরিক সনদ নিতে আসেন। আমি বলছিলাম জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে নাগরিক সনদের প্রয়োজন আছেনি। ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ময়নুল ইসলাম আমার কথায় ধরেন এবং কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে মারধর করেন। এই ইউপি সদস্যের সাথে আমার পূর্বে কখনও দেখা হয়নি এবং আমি উনাকে চিনিও না। আমি উনাকে উদ্দেশ্য করে কথাও বলিনি। চেয়ারম্যান পরবর্তীতে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের সমাধানে আমি সন্তুষ্ট নয়।

ইউপি সদস্য এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আমি ২১ বছর যাবত পরিষদের আছি কিন্তু কোনো দিনই জনগণের সাথে এরকম আচরণ করিনি। ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ময়নুল ইসলাম খারাপ নজির স্থাপন করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ময়নুল ইসলাম বলেন, একনজ লোক নাগরিক সনদ নিতে আসেন। এসময় প্রবাসী মন্তব্য করেন পরিষদ ধান্দা করে নাগরিকদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিচ্ছে। এবিষয় নিয়ে উনার সাথে কথাকাটাকাটি হয়। তবে মারধরের বিষয়টি ইউপি সদস্য অস্বীকার করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, নাগরিক সনদে বেশি টাকা নেয়ার বিষয়ে প্রবাসী মন্তব্য করলে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ময়নুল ইসলাম কথায় ধরেন এবং তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে উভয়ের লোকদের বসিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *