সরকারি বরাদ্দ দোবার নামে টাকা আত্মসাতের অভািযোগ

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: সরকারি বরাদ্দের বাথরুমসহ গভীর নলকূপ, ওয়াশব্লক ও কালভার্ট দেবার প্রলোভন দেখিয়ে ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়া ও তার পিএস মিয়াজানেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ও দৌলতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দবির মিয়ার বিরুদ্ধে। সরকারি গভীর নলকূপ, ওয়াশব্লক ও কালভার্ট দীর্ঘদিনেও না পাওয়ায় বার বার যোগাযোগ করে টাকাও ফেরত পাননি ভুক্তভোগীরা।

 

ফলে ন্যায়বিচারের আশায় মঙ্গলবার সিলেটের জ্যুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ ৩নং আমলী আদালতে উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া ও তার পিএস দবিরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন জামাল আহমদ নামের এক ভুক্তভোগী। তিনি উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি এবং ওই ইউনিয়নের তেঘরি গ্রামের মৃত মখন মিয়ার ছেলে।

 

মামলার অপর দুই আসামির একজন হচ্ছেন পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য দবির মিয়ার মা সফুল বিবি। আর অপরজন হচ্ছেন সুহেল শিকদার নামের এক ব্যক্তি।

 

মামলার শুনানী শেষে ওই আদালতের বিচারক দিলরুবা ইয়াসমিন অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করতে সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামানকে দায়িত্বভার দিয়েছেন (মামলার সিআর নং ৩১৬/২৩)।

 

মামলার বাদী জামাল আহমদের কাছ থেকে জানা গেছে, খাজাঞ্চি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি হওয়ায় অভিযুক্ত দবির মিয়ার সঙ্গে তার পূর্ব পরিচয় রয়েছে। সেই সুবাদে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে দবিরের কথামতে উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার সঙ্গে কথা বলে বাথরুমসহ গভীর নলকূপ, ওয়াশব্লক ও কালভার্টের জন্য আবেদন করেন তিনি। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার পিএসের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক ১১টি পরিবারের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে ওয়াশ ব্লকের জন্য ফি দেন। অন্য একটি পরিবারের নিকট থেকে আরও ২০ হাজার টাকা, তেঘরি মসজিদের জন্য ১০ হাজার টাকা এবং ৪টি কালভার্টের জন্য আরও ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা জমা দেন।

 

ওই টাকার মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দবির মিয়ার কাছে এবং আরও ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা দবির মিয়ার মা সুফল বিবির কাছে জমা দেন তিনি। এসময় দবির মিয়ার কথা অনুযায়ী ওয়াশব্লকের জায়গা পরিদর্শনে যাওয়া সুহেল শিকদার নামের এক ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়দানকারীকে আরও ৮ হাজার টাকা দেন। কিন্তু টাকা প্রদান ও জায়গা পরিদর্শন শেষে বছর ঘুরে এলেও বরাদ্দ পাননি তিনি। অবশেষে দবির মিয়ার বাড়িতে গেলে দবির মিয়ার মা সফুল বিবি দবির মিয়ার স্বাক্ষরিত ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তারিখের ইসলামী ব্যাংক বিশ্বনাথ শাখার ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার ওভার রাইটিং করা একটি চেক দেন। পরে আবারও টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন চেয়ারম্যান ও তার পিএস- এমন অভিযোগও করেন মামলার বাদী জামাল আহমদ।

 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া বলেছেন, এই ঘটনা এবং মামলায় বর্ণনার ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

 

বাদীপক্ষের আইনজীবী অঞ্জন দে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের জ্যুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ ৩নং আমলী আদালতের বিচারক দিলরুবা ইয়াসমিনের আদালতে এ মামলাটি করেন ভুক্তভোগী জামাল আহমদ। এ মামলায় ১৬ জন সাক্ষী রয়েছেন। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান পিপিএম বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো আদেশ এখনও তার কাছে পৌঁছায়নি।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *