আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক রবিবার বলেছেন, ইউক্রেনে সামরিক প্রশিক্ষক মোতায়েনের তাৎক্ষণিক কোনো পরিকল্পনা নেই। তার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রকাশিত মন্তব্য থেকে সরে এসে তিনি দেশে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ শুরু করতে চান।

 

আজ অবধি ব্রিটেন ও তার মিত্ররা রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষের ঝুঁকি কমাতে ইউক্রেনে আনুষ্ঠানিক সামরিক উপস্থিতি এড়িয়ে গেছে।

 

এক মাস আগে নিয়োগ পাওয়া ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস দ্য সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ব্রিটেন বা অন্য পশ্চিমা দেশে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ইউক্রেনে সামরিক প্রশিক্ষক মোতায়েন করতে চান।

 

সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সুনাক বলেন, ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনা পাঠানোর তাৎক্ষণিক কোনো পরিকল্পনা নেই।

 

ম্যানচেস্টারে কনজারভেটিভ পার্টির বার্ষিক সম্মেলনের শুরুতে সুনাক সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী যা বলেছেন তা হলো, ভবিষ্যতে একদিন আমাদের পক্ষে ইউক্রেনে সেই প্রশিক্ষণের কিছু করা সম্ভব হবে। কিন্তু সেটি দীর্ঘমেয়াদি কিছু। এখানে এবং এখন নয়। বর্তমান সংঘাতে যুদ্ধ করতে কোনো ব্রিটিশ সেনা পাঠানো হবে না।’

 

এদিকে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ রবিবার বলেছেন, কোনো ব্রিটিশ সেনা ইউক্রেনে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দিলে রুশ বাহিনীর জন্য বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে। ব্রিটেন গত এক বছরে প্রায় ২০ হাজার ইউক্রেনীয়কে পাঁচ সপ্তাহের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং সামনে একই সংখ্যক প্রশিক্ষণ দিতে চায়।

 

সানডে টেলিগ্রাফের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে শ্যাপস বলেছিলেন, শুক্রবার ব্রিটিশ সামরিক প্রধানদের সঙ্গে আলোচনার পর ইউক্রেনের মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো ইউক্রেনে অস্ত্র কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে বলেও তিনি আশা করেন।

 

-সূত্র : রয়টার্স

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *