ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: ঢাক ঢোল, শাঁখ আর উলুধ্বনিতে অশ্রুভেজা শ্রদ্ধাঞ্জলিতে দেবীকে বিদায় জানালো মর্ত্যের ভক্তরা। দেবীদুর্গার কৈলাসে ফিরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের মতো সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় পার্বণ শারদীয় দুর্গোৎসবের।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে মৌলভীবাজার জেলার মণ্ডপে মণ্ডপে পূজা-অর্চনার পর নানা আয়োজনে বিসর্জন দেওয়া হয় দেবীদুর্গার প্রতিমাকে। এই দিনেই আনন্দের মাঝে বাজতে শুরু করে বিসর্জনের বিষাদের সুর।

সকালে জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে ভোগ দেওয়া এবং দর্পণ বিসর্জন ও সিঁদুর খেলা। পরে অশ্রুশিক্ত চোখে ভক্তরা বিদায় জানান দেবীদুর্গাকে।

পরে জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকেল পাঁচটায় মনুনদের দক্ষিণ প্রান্তে পৌরশহরের পূজা মণ্ডপগুলোর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবীকে বিদায় জানানো হয়।

এদিকে জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দুর্গতিনাশিনী দেবীকে বিদায় দিতে সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করেন সনাতন ভক্তরা। দেবীদুর্গার কাছে আগামী দিনের জন্য আশীর্বাদ চান ভক্তরা। শহরের পুজা মণ্ডপগুলোতে অঞ্জলি, দর্পণ বিসর্জন, সিঁদুর দানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

এ বছর মৌলভীবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয় জানিয়ে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশু রঞ্জন দাস বলেন, বিকেল ৫টা থেকে পৌরশহরে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিসহ সব মঙ্গল গ্রহণ ও অশুভকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।

কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের পৌরহিত কন্দর্প নারায়ণ চক্রবর্তী বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রচলিত ও সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এই পূজা। একে বলা হয় দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষের সূচনা হয় মহালয়া দিয়ে। দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে চলে পূজার আয়োজন।

সনাতনী পঞ্জিকা অনুযায়ী, ২০ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। তাই দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী- এই পাঁচদিন দেবীদুর্গাকে দেখতে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *