ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী চারণকবি গোকুলানন্দ গীতিস্বামী’র ১২৭ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!এ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও মণিপুরী ললিতকলা একাডেমী ও মণিপুরী নাট্যশিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় মাধবপুর ইউনিয়নের মণিপুরী ললিতকলা একাডেমী প্রাঙ্গণ থেকে র্যালী ও মাধবপুর ইউনিয়নের জবলার পার গ্রামে গোকুলানন্দ গীতিস্বামীর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় মণিপুরি সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সন্ধ্যায় ৬টায় মণিপুরী ললিতকলা একাডেমী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মণিপুরী ললিতকলা একাডেমীর উপ পরিচালক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও কবি ও নাট্যকার সুভাষিশ সিনহার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ড. রঞ্জিত সিংহ।
এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষার ভারতীয় লেখক ড.প্রভাত কুমার সিংহ, দিলস লক্ষীন্দর সিংহ,বাংলাদেশ মণিপুরি সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহ, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়, বাংলাদেশ মণিপুরি যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি প্রদীপ কুমার সিংহ, মণিপুরী নাট্যশিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি চন্দ্রষের সিংহ সেফু।
অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন মণিপুরী ললিতকলা একাডেমীর গবেষণা কর্মকর্তা প্রভাস চন্দ্র সিংহ,শিক্ষিকা সুজিতা সিনহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে মণিপুরি শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, সামাজিক প্রেক্ষাপটের কারণে গুণীজনেরা বিভিন্ন সময় সমালোচিত হলেও পরবর্তীতে সত্যিই তাদের মূল্যায়ন হয়ে থাকে। গোকুলানন্দ গীতিস্বামী এমনই একজন গুণী ব্যক্তি, যিনি সকল সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। অনুষ্ঠানে শতাধিক স্কুলছাত্রী ও এলাকার গুনি ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

