স্পোর্টস ডেস্ক:;ব্যাট হাতে ১৫ টেস্টে তার গড় ২৯.২১। প্রাপ্তি এক সেঞ্চুরি চার ফিফটি। সৌম্য সরকারের প্রতিভার তুলনায় এই পারফরম্যান্স আহামরি নয়। সৌম্য নিজেই স্বীকার করেন, সাদা বলের তুলনায় লাল বলে ব্যাটিংয়ে রং ছড়াতে তিনি ব্যর্থ। ২০১৫ তে অভিষেকের পর চার বছরে টেস্ট দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন। তবে এবার লাল বলের সঙ্গে সখ্যতা বাড়াতে চান সৌম্য সরকার। করোনাকালের দীর্ঘ বিরতি যেমন ছিল একঘেয়েমির, তেমনি নিজেকে নিয়ে ভাবারও সময় পেয়েছেন। ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে এঁকেছেন নানা ছকও।
ব্যক্তিগত অনুশীলনে মাঠে ফিরে এখন চলছে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা। তবে মূল চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে প্রস্তুতি ম্যাচে। সেখানেই দিতে হবে ফিটনেসের আসল প্রমাণ। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফর, নিজের লক্ষ্য আর নতুন এক শুরুর প্রতীক্ষা নিয়ে সৌম্য সরকার কথা বলেছেন দৈনিক মানবজমিনের স্পোর্টস রিপোর্টার ইশতিয়াক পারভেজের সঙ্গে। সেই কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন: মাঠে ফেরার সুফল কতটা পাচ্ছেন?
সৌম্য: ক্রিকেটারদের ফিটনেস ঠিক রাখতে মাঠের কোনো বিকল্প নেই। বাসায় যে কাজ করেছি তাতে শুধু আগের ফিটনেসটা ধরে রাখার চেষ্টা ছিল। কিন্তু মাঠে ফিরে যেটা হচ্ছে ফিটনেস বাড়ানোর কাজটি করতে পারছি। এখনো অনেক পথ বাকি, এত লম্বা সময় আমরা মাঠের বাইরে ছিলাম তাই মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। এখন জিম করছি, স্কিল নিয়ে কাজ হচ্ছে। ক’দিন পর প্রস্তুতি ম্যাচ আছে, ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে পারবো আশা করি।
প্রশ্ন: টেস্ট দিয়ে ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। লাল বলে আপনার গ্রাফটা ঠিক করতে চান নিশ্চয়?
সৌম্য: সব ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে টেস্ট দলে নিজের জায়গা পাকা করা। ব্যাট বা বল হাতে এমন কিছু করা যেন সবাই মনে রাখে। এই ইচ্ছা আমারও প্রবল। কাজ করছি যেন টেস্টে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারি। লাল বল নিয়ে কাজ করছি। যে জায়গাগুলোয় দুর্বলতা মনে করি সেগুলো শুধরানোর চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন: টেস্ট দলের জন্য একজন স্থায়ী ব্যাটিং কোচ কতটা প্রয়োজন বলে মনে করেন?
সৌম্য: অবশ্যই একজন কোচ থাকা খুব প্রয়োজন। তাই বলে এই নয়, সে আমাদের হাতে কলমে শেখাবে। এতদিন পর এসে সেগুলো প্রয়োজন হবে না। আমি যে জন্য প্রয়োজন মনে করি তা বলছি, ধরেন একজন কোচকে হতে হয় ভালো মোটিভেটর। তার কথাগুলোই হবে আমার জন্য অনুপ্রেরণার। আবার সে আমাদের ভুলগুলো ঠিক করে দিবে। তার কাছ থেকে কিছু শিখে তা মাঠে প্রয়োগ করবো। কিন্তু আমার স্টাইল বদলে দিবে এমন না। আবার কী হয়, কোচের সঙ্গে সব ক্রিকেটারের বোঝাপড়াটা এক রকম হয় না। কারো সঙ্গে খুব ভালো কারো সঙ্গে একেবারেই কম। সত্যি কথা বলতে কী কোচের কাছ থেকে আমাদের নিতে পারাটাই আসল।
প্রশ্ন: দীর্ঘ বিরতির পর ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া নয়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিরছে বাংলাদেশ। একটু সহজ মনে হচ্ছে?
সৌম্য: ক্রিকেটে কোনো প্রতিপক্ষই সহজ নয়। তবে হ্যাঁ, শ্রীলঙ্কা বলে একটু স্বস্তি আছে এই যে আমাদের মতোই কন্ডিশন। দুই দলের সক্ষমতাও এখন কাছাকাছি। আরেকটা বিষয় হলো দুই দলই কিন্তু অনেক দিন পর ফিরছে। তাই অবস্থাটা হবে ফিফটি-ফিফটি।
প্রশ্ন: এতদিন পর ফিরে ব্যাটসম্যানদের জন্য মাঠের চ্যালেঞ্জটা কী হতে পারে?
সৌম্য: দেখেন ক্রিকেটে ফিটনেস নিয়ে দুটি বিষয় মনে রাখতে হবে সব সময়। একটি হলো এমনি ফিটনেস আরেকটি হলো ম্যাচ ফিটনেস। বিশেষ করে এত লম্বা সময় পর আমি মনে করি যখন মাঠে যাবো ব্যাট হাতে তখন একটা অস্থিরতা কাজ করতে পারে। সেখানে টিকে থাকা, ব্যাট হাতে নিজের স্কিল প্রয়োগ করা সহজ হবে না। তবে শ্রীলঙ্কায় যতটা জানি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। ফিটনেস ফেরাতে ম্যাচ খেলতেই হবে। দলের অন্য যারা আছেন তাদের জন্যও তাই, প্রস্তুতি ম্যাচে ফোকাস করতে হবে। নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

এ/১১

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *