ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: দীঘদিন বিরোধী রাজনীতিতে থাকা বিএনপি এখনো মর্যাদা ও শক্তিমত্তার সঙ্গে টিকে আছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। জাতীয়তাবাদী শক্তির কলেবর ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এটিই শহীদ জিয়াউর রহমানের কৃতিত্ব। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি যিনি পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে বলেছিলেন- ‘উই রিভোল্ট’। তার ঘোষণায় দেশের মানুষ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। মেজর জিয়ার নেতৃত্বে চট্টগ্রামে যে প্রতিরোধ গড়ে ওঠেছিল সেটি স্ট্যালিনগ্র্যাদের প্রতিরোধের মতো।

 

সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শহীদ জিয়া ও বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

 

নজরুল ইসলাম বলেন, আজকে ক্ষমতাসীন সরকারের জিয়াউর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকা উচিৎ। কিন্তু তারা নির্লজ্জের মতো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করছেন। ঋণ দিয়ে জিয়াউর রহমান গার্মেন্টস শিল্প চালু করেছিলেন। বেকারত্ব দূর করতে নানা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্যে ১৬ হাজার কর্মী পাঠিয়ে তিনি প্রথম প্রবাসী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছিলেন।

 

জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন সময় কাজের ঘটনার স্মৃতিচারণ করে নজরুল আরও বলেন, জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি শুরু করেছিলেন। তিনি পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। অথচ এদেশে একসময় মানুষ ডাস্টবিনে পশুর সঙ্গে খাবার খেত। কারখানাগুলো বন্ধ হয়েছিল। এক শিফটের পরিবর্তে দুই শিফটে কাজ শুরু করেন জিয়াউর রহমান। তিনি সব কলকারখানা পর্যায়ক্রমে চালুর মাধ্যমে অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান।

 

বিএনপির এ নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তি ছিলেন। তিনি অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু তাকে দেশের জনগণের হৃদয় থেকে মুছে ফেলার চক্রান্ত হয়েছে, এখনো হচ্ছে।

 

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে সভার সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন ড্যাব মহাসচিব আবদুস সালাম। ড্যাবের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মেহেদী হাসান ও আশফাক নবী কনকের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক জেড রিয়াজ উদ্দিন নসু এবং ড্যাব সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও শহীদুল আলম প্রমুখ।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *