ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: পুলিশ চুপ থাকলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘর থেকেও বের হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ বলে এখন আর কিছু আছে? শুধু ঢাকা মহানগরের পুলিশ বলুক, তারা এখন থেকে চুপচাপ এবং নিরপেক্ষ থাকবে। তাহলে আওয়ামী লীগ ঘর থেকেও বের হতে পারবে না। কোনো সভাও করতে পারবে না। কোনো বিরোধীদলীয় নেতাকে চোখ রাঙিয়ে কথা পর্যন্ত বলতে পারবে না। সাত জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নিজের দলকে ভেঙে তিন ভাগে ভাগ করেছে। এক দলের মধ্যে তিনটি মার্কা। এটি নিয়ে তারা নিজদের মধ্যে খুনাখুনি পর্যন্ত করেছে। এ সরকারের প্রতি রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে কারো কোনো বিশ্বাস এবং ভরসা নেই।
তিনি আরও বলেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন মানুষ মারা গেছে। আমরা বলছি আগুনে পুড়ে মানুষ মারা গেছে, কিন্তু লাশগুলো যখন বের করা হচ্ছে তখন সেই শরীর পোড়া ছিল না। কারণ তারা আগুনে পুড়ে মারা যায়নি। আগুনের কারণে যে ধোয়া তৈরি হয়েছে তার জন্যই বেশি মানুষ মারা গেছে। রেস্টুরেন্টের নিচতলায় সব অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশে করে গণতন্ত্র মঞ্চের এই শীর্ষ নেতা বলেন, সাত জানুয়ারি কোনো ভোট হয়নি। কিন্তু আপনি বক্তৃতা করে বেড়ান ৭৫-এর পর এরকম ভোট আর হয়নি। প্রধানমন্ত্রী যদি এরকম মিথ্যা কথা বলেন তাহলে পুরো আওয়ামী লীগের লোকরাও মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান প্রমুখ।

