ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: টানা সাত মাস ধরে যুদ্ধচলা নির্বিচারে হামলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গাজায় ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে। এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলেছে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ছাড়া কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতিতে তারা রাজি হবে না।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
যদিও ইসরাইলের সঙ্গে হামাস যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় রাজি হয়েছে এবং যেকোনো সময় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। শনিবার মধ্য রাতে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতির এমন কোনো প্রস্তাবে একমত হবে না যেটাতে স্পষ্টভাবে যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তির কথা অন্তর্ভুক্ত থাকবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের ওই কর্মকর্তা জানান ‘গাজায় আগ্রাসন বন্ধের বিষয়টি যুক্ত না করে কেবল ইসরাইলি বন্দি মুক্তির প্রচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন।
হামাস কোনো অবস্থাতেই এমন চুক্তিতে সম্মত হবে না যেটাতে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের বিষয় স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান এবং সমগ্র গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহার ছাড়া কোনো চুক্তিই হবে না।
এর আগে শনিবার ইসরাইলের উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধের অবসান ঘটানোর যে দাবি হামাস করছে, তা ‘(যুদ্ধবিরতির বিষয়ে) চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে।
এএফপি বলছে, হামাস ও ইসরাইলের দুই কর্মকর্তার বক্তব্য এমন এক সময়ে সামনে এলো যখন- প্রায় সাত মাসের যুদ্ধে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে শনিবার হামাসের আলোচকরা মিশরে গেছেন।
ব্রিটেনের প্রকাশিত বিবরণ অনুসারে, সম্ভাব্য একটি চুক্তির প্রস্তাবের বিষয়ে হামাসের জবাবের জন্য অপেক্ষা করছে মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা। এই চুত্তি হলে ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং ইসরাইলি কারাগারে ফিলিস্তিনিদের বন্দিদের সঙ্গে গাজায় আটক বন্দিদের বিনিময় করা হবে।
হামাস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাস এই চুক্তিটিতে ‘সম্পূর্ণ এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি’ বলে একটি সুস্পষ্ট এবং পরিষ্কার বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে অনুরোধ করেছে এবং ইসরাইল এখন পর্যন্ত এই বিষয়টি মানেনি।

