ডায়ালসিলেট:: সিলেট শহরতলীর সর্দারগাঁও এলাকায় ৫ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর পিতা গতকাল (১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২০ইং) রবিবার রাতে জালালাবাদ থানায় দুজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৮) ।
পরে ওইদিন রাতেই স্কুল ছাত্রীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। স্কুল ছাত্রী রায়েরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত।
ধর্ষণকারী আসামিরা হলেন, জালালাবাদ থানাধীন রায়েরগাঁও এলাকার নাছির আলীর ছেলে জসিম মিয়া ও সর্দারগাঁও এলাকার তজম্মুল আলীর ছেলে এখলাছ আলী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন করেন জালালাবাদ থানার এসআই জুবায়ের আহমদ। তিনি বলেন, স্কুল ছাত্রীকে প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পিতা রবিবার রাতে দুজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে মেয়েটিকে ওসিসিতে ওইদিন রাতেই ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
স্কুল ছাত্রীর পিতা জানান, গত রবিবার রাত ১০টার দিকে আমার মেয়ে বাতরুমে যায়। ওই সময়ে বিদ্যুৎ ছিলো। একটু পরেই আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। এই ফাঁকে সর্দারগাঁও এর এখলাছ আমার মেয়েকে মুখে চেপে ধরে এবং রায়েরগাঁও’র জসিম আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় বাছাই নদীর চরে। ওইখানে তারা দুজন মিলে ধর্ষণ করে। এরপর তারা আমার মেয়েকে নৌকা করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য রাতে নদীর পাড়ে যায়। সেখানে মেয়েটির মামা বিষয়টি দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসেন। এসে দেখেন তাদের কাছে তার স্কুল পড়ুয়া ভাগ্নি। এরপর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্কুল ছাত্রীকে ফেলে ঘটনার হোতারা দ্রুত পালিয়ে যায়। আমাদের পরিবার হিন্দু ধর্মের। আর আসামীরা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। এজন্য ভয়ে গত এক সাপ্তাহ কাউকে কিছু বলিনি।