ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে অথচ তারাই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি লালন করে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

শুক্রবার বাদ জুম’আ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘দখলদার ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনে বেসামরিক নারী-পুরুষ-শিশু গণহত্যা বন্ধ, স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত করার দাবিতে গণমিছিল পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিলটি বের হয়ে পল্টন মোড় থেকে শুরু করে নয়াপল্টন, ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দৈনিকবাংলা গিয়ে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।

মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, আওয়ামী সরকারের কাজ দেখে আমাদের হাসি আসে। যেসব সিনিয়র অফিসার তাদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে, তাদের দুর্নীতির খবর সামনে আসার পর সরকার বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে জনগণকে বুঝ দিয়ে রাখছে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে। অথচ তারাই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি লালন করে। অথচ সরকার কী জানে না যারা দুর্নীতিবাজ তারা সব সময়ই দুর্নীতিবাজ।

 

 

তিনি আরো বলেন, আজকের গণমিছিল ন্যায়ের পক্ষে ও অন্যায়ের প্রতিবাদ। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সবসময় সোচ্চার থাকে। আজ ফিলিস্তিনের মা-বোনদের ওপর অমানুষিক অত্যাচার করা হচ্ছে। জালেম ইসরাইল যেভাবে আজ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে তার পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছে আমেরিকা।

চরমোনাই পীর বলেন, আজ বাংলাদেশ সরকার ইসরাইলকে সমর্থন দেয়ার ঘৃণ্য পাঁয়তারা শুরু করেছে। এদের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে। ইসরাইলসহ তাদের সকল দোসরদের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি। ইসরাইল ফিলিস্তিনে নির্মমতার মাধ্যমে মা-বোন, শিশু ও পুরুষ হত্যা। আমেরিকার মানবতার স্লোগান দিয়ে সবচেয়ে জঘন্যতম নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে।

 

 

 

 

আমেরিকার মদদেই ইসরাইল অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে রেখেছে। বর্তমান সরকার ফিলিস্তিনের জন্য অনেক মায়াকান্না করে। অথচ এরাই পাসপোর্ট থেকে এক্সেপ্ট ইসরাইল তুলে দিয়ে তলে তলে ইসরাইলের সঙ্গে সখ্যতা করছে। এমন মোনাফেকি আচরণ মেনে নেয়া যায় না। এদেরকে প্রতিহত করতে সকলের সম্মিলীত প্রচেষ্টার প্রয়োজন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি, নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ছাত্রনেতা নূরুল বশর আজিজী, ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ মুফতি ফরিদুল ইসলাম, আলামিন সোহাগ, উত্তরের সভাপতি হাফিজুল হক ফাইয়াজ প্রমুখ।

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *