ডায়ালসিলেট ডেস্ক :ফ্যাসিবাদের সকল বৈশিষ্ট্য’ প্রদর্শনের জন্য ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী নেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে অভিযুক্ত করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে তাদের কোনো স্থান নেই। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন ড. ইউনূস।

জুলাই-আগস্ট ছাত্রজনতা নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের পর যখন হাসিনার পতন হয়েছে তখন বাংলাদেশের প্রাচীন দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন ৮৪ বছর বয়সী শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস।
তিনি আরও বলেছেন, এখনই তার সরকার ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে দিল্লির কাছে ফেরত চাইবে না। কেননা এ বিষয়টি প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ড. ইউনূস বলেছেন, নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশে স্বল্পমেয়াদে তার কোনো জায়গা হবে না, তার দল আওয়ামী লীগেরও কোনো জায়গা হবে না। কেননা তারা দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক কলকব্জা নিয়ন্ত্রণ করেছে। তারা নিজেদের সুবিধার জন্য রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেছে। সুতরাং তাদের মতো কোনো ‘ফ্যাসিস্ট দল’ গণতান্ত্রিক ধারায় স্থান পাবে না। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের আমলে হওয়া নির্বাচনে কারচুপি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং শেখ হাসিনার ১৫ বছরের বেশি সময়ের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ এনেছে। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার দলকে রাজনীতি থেকে সাময়িক নিষিদ্ধের আলোচনাও শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, রাজনীতিতে ফিরতে হলে আওয়ামী লীগকে সংস্কারের মধ্য দিয়ে আসতে হবে। আবার কারো কারে মতামত হচ্ছে ওই দলটিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করা উচিত। এ নিয়ে বেশ বিতর্ক চলছে।

ড. ইউনূসের ধারণা আওয়ামী লীগ ভেঙে যেতে পারে। তবে তিনি এ বিষয়েও জোর দিয়েছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে হাসিনার দলের কোনো ভাগ্য বদল হবে না। কেননা তারা কোনো বর্তমান সরকার ‘রাজনৈতিক সরকার নয়’। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি-না তা নির্ধারিত হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ‘ঐক্যমতের’ ভিত্তিতে। এক্ষেত্রে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে তা নির্ধারণ করতে হবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *