ডায়ালসিলেট ডেস্ক :নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রত্যেককে একটি মেসেজ দিতে হবে যে, তোমরা যাকে খুশি ভোট দাও, কিন্তু ভোট যাতে হয় যেকোনো মূল্যে এই ব্যবস্থাটা করতে হবে। আমাকে দেয়ার দরকার নাই। তুমি যাকে ভালো   মনে করো, তুমি তাকে ভোট দাও। ভোট হতে হবে। এটার সঙ্গে কোনো আপস নাই। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময়  আগামী তিন মাস প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের ঘোষণা দেন তিনি।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

কৃষক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, প্রত্যেককে একটি মেসেজ দিতে হবে যে, ভাই তুমি যে রাজনীতিতেই বিশ্বাস করো না কেন, কিন্তু তুমি একটি জায়গায় এসে দাঁড়াও। ওই ডামি নির্বাচন হতে পারবে না, ওই নিশিরাতের ভোট হতে পারবে না। দিনের আলোতে ভোট হতে হবে। যাকে খুশি তাকে ভোট দেয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। নিরাপদে ভোট দেয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। কেউ কাউকে ভোট দেয়ার সময় ডিস্টার্ব করতে পারবে না। যাবে, লাইন ধরবে, ভোট দিয়ে চলে আসবে। তার মত সে প্রকাশ করবে। কোনো ভয়-ভীতি থাকবে না। নিরপেক্ষভাবে ভোট হতে হবে। এটার সঙ্গে কোনো আপস নয়। ষড়যন্ত্র যদি রুখতে হয় তাহলে অবশ্যই ভোটের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশ, দেশের মানুষ এবং এদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি, এই তিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। এই ষড়যন্ত্র যে থেমে নেই তা আপনারা পত্র-পত্রিকায় নিউজের মাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সংবাদের মাধ্যমে, বিভিন্ন টেলিফোনের আলাপের মাধ্যমে আপনারা কম-বেশি জানতে পারছেন। কাজেই জাতীয়তাবাদী শক্তির সহকর্মীদের বলবো, ষড়যন্ত্র যে থেমে নেই। এই কথাটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি বলেন, যারা মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। যেদিন এরকম একটি সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব হবে, সেদিনই বাজার পরিস্থিতি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। আমরা যেটাই উন্নত করতে চাই না কেন, জনগণের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করতে হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারলে জনগণের কাছে জবাবদিহি করে এরকম ব্যক্তিদের সামনে আনতে না পারলে কোনো ভাবেই আমরা ভালো কিছু করতে পারবো না।

আদা-রসুন ও পিয়াজের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ডিমের দাম ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকার কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। কেন? এটার কিছু সমস্যা তো আছে। যেটা আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখি। এর বাইরে আমি মনে করি, একটি বড় সমস্যা আছে- সেটি হচ্ছে আমাদের আরও উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর পানি আমাদের বড় একটি বিষয়। ২০ কোটি মানুষের দেশে আমাদের পানির বিরাট একটি সংকট আছে। পানি কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত। কৃষির সঙ্গে পানি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পানি ছাড়া আপনি কৃষির কিছুই করতে পারতেন না। শহীদ জিয়াউর রহমানের সময় খাল খনন কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। ওই সময় কৃষির অনেক সেক্টরে হাত দেয়া হয়েছিল। তার ফলেই কিন্তু শহীদ জিয়া যখন দেশের দায়িত্বভার পান, তখন ফসলের উৎপাদন ছিল, বিশেষ করে ধান ১১ মিলিয়ন টনের কাছাকাছি ছিল। শহীদ জিয়ার সময় দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে দুই মিলিয়নের বেশি এটি বৃদ্ধি পায়। এর প্রধান কারণ ছিল, খাল খনন কর্মসূচি। আগামীতে বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলে আমরা শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি আবার শুরু করবো, ইনশাআল্লাহ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *