ডায়ালসিলেট ডেস্ক:চট্টগ্রামে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে কারাগারে নেয়ার সময় সহিংসতায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

  শুক্রবার রাতে আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, চন্দন দাস, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, রনব, বিকাশ, রমিত, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, লালা, সোহেল দাশ, শিব কুমার, গনেশ, রাজ কাপুর, পপি, দেব, অজয় প্রমুখ।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে বলেন, মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মামলার আসামিদের বেশির ভাগ নগরের কোতোয়ালি এলাকার সেবক কলোনির পরিচ্ছন্নতাকর্মী। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও দেখে পুলিশ এর মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।’

চন্দন দাসকে মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে উল্লেখ কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সময় চন্দন কমলা রঙের গেঞ্জি ও হেলমেট পরেছিলেন। ভিডিওতে তাকে কোপাতে দেখা গেছে ও তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

এর আগে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরদিন মঙ্গলবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের আদালত। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তখন চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে দেয়। তারা এ সময় বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় আদালত ভবনের মূল ফটকের সামনে সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *